মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে খবর, লালবাবুর পিঠে ওয়ান শটার ঠেকিয়ে গুলি করা হয়। দুষ্কৃতীরা ভাড়াটে খুনি বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, বহু বছর পরে খুনোখুনির জেরে ব্যান্ডেলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ঘটনাস্থল কুলিপাড়া থেকে মৃতের বাড়ি নিউ কাজিডাঙা এলাকা তো বটেই, ব্যান্ডেল সদরেও আতঙ্কের আবহ দেখা গিয়েছে। চন্দননগরের পুলিস কমিশনার অমিত পি জাভালাগি বৃহস্পতিবার বলেন, খুনের ঘটনার তদন্তে সমস্ত দৃষ্টিকোণ থেকে তদন্ত করা হচ্ছে। দ্রুত অপরাধীদের ধরে ফেলব। মৃতের ছেলে বলেন, আমার কাকার ছেলে তাঁদের পারিবারিক সমস্যার জন্য আমার বাবাকে দায়ী করত। বাবাকে খুনের হুমকিও দিয়েছিল সে। অভিযুক্ত যুবকের মা অবশ্য বলেন, আমার ভাশুর আমাদের পারিবারিক জীবন শেষ করে দিয়েছেন। আমার ছেলে কোনও অপরাধের সঙ্গে জড়িত নয়।
লালবাবুর জীবন অবশ্য ছিল বর্ণময়। জীবনের প্রথম পর্বে সমাজবিরোধী কাজের সঙ্গে তাঁর প্রত্যক্ষ যোগ ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে শেষতম অভিযোগটি পাঁচ বছর আগে দায়ের হয়। একসময় কারাবাসও করেছেন লালবাবু। পুলিসের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যান্ডেলের লেডি গ্যাংস্টার শকুন্তলা যাদবের সঙ্গে সরাসরি যোগ ছিল লালবাবুর। ব্যান্ডেলের আরেক গ্যাংস্টার হিড্ডার দলেরও ঘনিষ্ঠ ছিলেন মৃত ব্যক্তি। দুই গ্যাংস্টারই বর্তমানে এলাকা ছাড়া। দু’জনেরই বিরুদ্ধে জমি কারবার সঙ্গে তোলাবাজি, খুন ইত্যদি অভিযোগ আছে। শকুন্তলা ও তার ছেলে ব্যান্ডেলে তৃণমূল প্রধান খুনে অভিযুক্ত। জমির কারবার করতেন লালবাবুও।
পরিবার ও পুলিস সূত্রে লালবাবুর চারজন স্ত্রী’র হদিশ মিলেছে। তবে কেউই বর্তমানে তাঁর নিউ কাজিডাঙার বাড়িতে থাকতেন না। পাশাপাশি অন্য নারীদের সঙ্গও উপভোগ করতেন তিনি। আবার, পরিবারেও জটিলতা ছিল। ভ্রাতৃবধূ নীলুদেবীর সঙ্গে মৃতের ভাই ধর্মেন্দ্র গোয়ালার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। সেই বিরোধের মূলে আছে নীলুদেবীর একটি পৈতৃক বাড়ি। অভিযোগ, সেই বিবাদে ভাইয়ের পক্ষ নিয়ে বিতর্কে জড়ান লালবাবু।
স্থানীয়দের দাবি, গত পাঁচ বছরে প্রকাশ্যে তাঁকে অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে দেখা যায়নি। সেক্ষেত্রে এই খুনে কোন ঘটনা মুখ্য ভূমিকা নিয়েছে, তা ঠাহর করতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিস।