মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার রাতে আড়িয়াদহের কেদার সিংহ রোডের বাসিন্দা সায়নদীপ পাঁজা ও তাঁর মা বুবুন পাঁজার উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁরা এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় পুলিস আটজন অভিযুক্তকে আগেই গ্রেপ্তার করেছে। তবে মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার না হওয়ায় মঙ্গলবার ও বুধবার পরপর দু’দিন বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার ভোরে পুলিস জয়ন্ত সিংকে গ্রেপ্তার করে। পুলিস জানিয়েছে, জয়ন্তকে বরানগর থানার বনহুগলি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যদিও সূত্রের দাবি, প্রভাবশালীদের নির্দেশে এদিন সকালে জয়ন্ত নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে।
আড়িয়াদহের বাসিন্দা সৌরভ পাঁজা, সোমনাথ দাস বলেন, এলাকায় ঘুরে বেড়ানো সামান্য একটা ছেলে কাদের ক্ষমতায় বলীয়ান হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অস্ত্র নিয়ে ছবি পোস্ট করার সাহস পায়। এইসব মস্তানদের পিছনে রাজনৈতিক মদত রয়েছে। ওইসব লোকেদের বিরুদ্ধেও পুলিসকে পদক্ষেপ নিতে হবে। তা নাহলে এই ধরনের ঘটনা বন্ধ হবে না। জেল থেকে বেরিয়ে জয়ন্তরা ফের একই ঘটনা ঘটাবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বাসিন্দা বলেন, কামারহাটির অলিগলি এমন মস্তানে ছেয়ে গিয়েছে। তারা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘুরছে। এদের মাধ্যমে এলাকায় নেশা, জুয়া ও সাট্টার ঠেক চালানো হচ্ছে। এমনকী এদের হাত ধরেই কামারহাটি এলাকায় সিন্ডিকেট রাজ চলছে। বাড়িঘর করতে হলে দিতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের নজরানা। তাদের অনুমতি ছাড়া বাড়ির একটি ইটও গাঁথা যাচ্ছে না। সাধারণ মানুষ চরম আতঙ্কে রয়েছেন। যদিও পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, কেউ অন্যায় করলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।