গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, যাদবপুরের নির্দল হয়ে ভোটে লড়ছেন তনুশ্রী মণ্ডল নামে এক মহিলা। তিনি হাওয়াই চটি প্রতীক হিসেবে বেছেছেন। প্রার্থীর কথায়, ‘অনেকগুলির মধ্যে এটা নিয়েছি। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই। মানুষ এই প্রতীক দেখে ভোট দিলে তো আমারই লাভ।’ ডায়মন্ড হারবারের নির্দল প্রার্থীরা কেউ নিয়েছেন গ্যাস সিলিন্ডার। কারও পছন্দ ব্রাশ। ল্যাপটপ ও হেলমেট প্রতীকও নিয়েছেন দু’জন। মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি দু’জন বাপি হালদার নামের ব্যক্তিকে ডামি প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। তাঁদের একজনের চিহ্ন আখচাষি। অন্যজনের আঙুর। যাদবপুরে বিজেপির এক ডামি প্রার্থী আবার প্রতীক হিসেবে বেছেছেন গ্যাস স্টোভ। নির্দলদের প্রায় সবাই এক সুরেই বলছেন, যেটা ভালো লেগেছে সেটা নিয়েছি। প্রতীক দেখেই তো ভোট হয়। যদি তাতে কিছু ভোট পাওয়া যায় ভালো। রাজনৈতিক মহলের দাবি, ভোটারদের আকৃষ্ট করতেই বিভিন্ন কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থীরা আকর্ষণীয় এবং পরিচিত সব চিহ্ন বেছে নিয়েছেন। তবে সবার মধ্যে নজর কেড়েছে হাওয়াই চটি।
নিয়ম অনুযায়ী, মনেনায়ন গৃহীত হওয়ার পর চূড়ান্ত নামের তালিকা ঘোষণার দিন প্রার্থীদের ডেকে সিম্বল বা প্রতীক দেওয়া হয়। নির্দল প্রার্থীদের জন্য তা বাছাইয়ের অপশান থাকে। তাঁরা যে যার মতো তার মধ্য থেকে বেছে নিতে পারেন। এবারের ভোটে এরকম রকমারি প্রতীককে লড়তে দেখা যাচ্ছে। ভোট দিন বাঁচতে, তারা হাতুড়ি কাস্তে। বা, ভোট দেবেন কোনখানে, জোড়া ফুলের মাঝখানে। অথবা, পদ্ম করবে সবাইকে জব্দ। ইত্যাদি স্লোগান শুনলেই রাজ্যের মানুষ চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারে কোন দলের মিছিল যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে ভোটে থাকার ফলে পরিচিত হয়ে গিয়েছে সিপিএম, তৃণমূল, বিজেপির প্রতীক। কিন্তু যাঁরা নির্দল হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছেন, তাঁরা তো চাইলেই এ প্রতীকগুলি পাবেন না। ফলে তাঁদের জন্য কমিশন ব্যবস্থা করে পরিচিত কিছু দ্রব্যের ছবি। সেগুলি থেকে পছন্দের প্রতীক বেছে নেন নির্দলরা। স্বাধীন ভারতে নির্বাচন শুরুর পরপরই চালু হয় প্রার্থীদের জন্য প্রতীকের ব্যবহার। সেই ব্যবস্থাই চলছে।