শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
তিনি আরও বলেন, খড়দহে ফুটবল অ্যাকাডেমি, সল্টলেকে টেনিস অ্যাকাডেমি সহ একাধিক অ্যাকাডেমি তৈরি করা হয়েছে। এই রাজ্যে ফুটবলের উন্নতির জন্য আমরা বহু চেষ্টা করেছি। কিন্তু, এবার সন্তোষ ট্রফিতে জিততে পারিনি। এটা দুঃখের। তাই শুধু ইস্ট বেঙ্গল আর মোহন বাগান করলে চিৎকার করলে হবে না। বাংলার ফুটবলের সার্বিক উন্নতি করতে হবে। বাংলার ফুটবলের উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ভারতীয় ফুটবল এগোবে না। অরূপবাবু বলেন, একসময় ভারতীয় দলে বাংলার সাত-আটজন খেলোয়াড় প্রতিনিধিত্ব করতেন। এখন আর নেই। ফলে, বাংলার ফুটবলের উন্নতি করতে হবে। তিনি এদিন সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে বারাকপুর স্টেডিয়ামের নামকরণ করেন। আর এই স্টেডিয়ামে এখনও দিনরাত খেলার জন্য ফ্লাড লাইট নেই। এদিন মন্ত্রী ঘোষণা করেন, টেন্ডার হয়ে গিয়েছে, খুব শীঘ্রই ফ্লাড লাইট লাগানো হবে। এদিন অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য দীনেশ ত্রিবেদি, পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস সহ অধিকাংশ কাউন্সিলার উপস্থিত ছিলেন।
বারাকপুর রয়্যাল পার্ক এলাকায় ১৫ বিঘা জমির উপর এই স্টেডিয়াম তৈরি করা হয়েছে। স্টেডিয়ামের একদিকে শুধু দর্শকদের বসার জন্য গ্যালারি তৈরি করা হয়েছে। স্টেডিয়ামের অন্যান্য অংশ পাঁচিল দিয়ে ঘেরা রয়েছে। স্টেডিয়ামের ভিতরে লোহার নেট দিয়ে ফেন্সিং করা হয়েছে। মাঠটিতে সুন্দর ঘাস লাগানো হয়েছে। ফেন্সিংয়ের বাইরে দর্শকদের হাঁটাচলার জন্য চওড়া ফুটপাত তৈরি করা হয়েছে। স্টেডিয়ামে যাওয়ার জন্য দুদিকে রাস্তা রয়েছে। একদিকে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে। এই রাস্তা থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত ম্যাস্টিক রোড করা হয়েছে। এদিন অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর ইস্ট বেঙ্গল ও মোহন বাগান জুনিয়র টিমের খেলা হয়। যা দেখতে স্টেডিয়াম চত্বরে দর্শকদের ভিড় উপচে পড়ে।
অন্যদিকে, একই দিনে নৈহাটি স্টেডিয়ামের এদিন উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানের জন্য শনিবারই গোটা স্টেডিয়াম চত্বর ঢেলে সাজানো হয়েছিল। দলীয় পতাকা লাগানো হয়েছিল। রবিবার সকালে দেখা যায়, দলীয় পতাকা খুলে নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। ফেস্টুন ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেন, বিজেপির দুই কর্মী মদ্যপ অবস্থায় এসে এই কাণ্ড করেছে। বিষয়টি থানায় জানানো হয়েছে। যদিও বিজেপির নেতৃত্ব এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
যদিও বিকালে ক্রীড়ামন্ত্রী নৈহাটির স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করেন। পূর্ত দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৬.৫৫ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এই স্টেডিয়ামের চারিদিকে গ্যালারি তৈরি করা হয়েছে। একেবারে উঁচুতে কাচ দিয়ে ঘেরা ভিআইপিদের বসার জায়গা করা হয়েছে। সেখানে এসি মেশিন বসানো হয়েছে। অনুষ্ঠান শেষে বিধায়ক একাদশ আর ক্রীড়ামন্ত্রী একাদশ খেলা হয়।