শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
তিলজলা, তপসিয়া, বেনিয়াপুকুর— কলকাতা পুলিসের দক্ষিণ-পূর্ব ডিভিশনের আওতায় পড়ে এই তিনটি থানা এলাকা। মূলত, মা উড়ালপুলের যে অংশটি এই তিনটি থানার অধীনস্থ এলাকা দিয়ে যাচ্ছে, সেখানেই চীনা মাঞ্জার বাড়বাড়ন্ত। কয়েকদিন আগে ঢাকঢোল পিটিয়ে চীনা মাঞ্জার বিরুদ্ধে প্রচারে নেমেছিল পুলিস। মাইকে প্রচার, লিফলেট বিলি করে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা হয়েছিল। লিফলেটে বলা হয়েছিল, ‘কেউ সিন্থেটিক বা চীনা মাঞ্জার সুতোর ব্যবহার করবেন না। এতে বিপদ বাড়ছে। অনেকেই জখম হচ্ছেন। বিপদ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে এই ধরনের সুতো বর্জন করুন।’ লিফলেটে দু’টি নির্দিষ্ট ফোন নম্বর দেওয়া হয়— (০৩৩) ২২৮১-৪২৬৮ এবং ২২৮০-৪১০০। বলা হয়, কাউকে এই ধরনের নিষিদ্ধ বিপজ্জনক সুতো দিয়ে ঘুড়ি ওড়াতে দেখলে ওই নম্বরে ফোন করে যেন পুলিসকে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ওই দু’টি নম্বরে তেমন কোনও ফোন আসেনি। তাহলে কি এই তিনটি এলাকার মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়েনি, নাকি প্রচারে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না? প্রশ্ন তুলেছেন বাইক চালকরাই।
দক্ষিণ-পূর্ব ডিভিশনের এক পুলিসকর্তার কথায়, সবদিক থেকেই চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু চীনা মাঞ্জাকে কেন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না, সেটাই চিন্তার। যদিও পুলিসের একাংশ বলছে, পার্ক সার্কাস মোড়ে বা লোহাপুলের মোড়ে দাঁড়িয়ে প্রচার চালালেই আসল উদ্দেশ্য সফল হবে না। প্রয়োজন এলাকায় ঢুকে প্রচার চালানো। নজরদার হিসেবে স্থানীয়দেরই নিযুক্ত করতে হবে। বিভিন্ন বহুতলের উপরে এই চীনা মাঞ্জার সুতোয় ঘুড়ি ওড়ানো হয়। সেই বাড়িগুলি ধরে ধরে নজরদারি বাড়াতে হবে। এই ধরনের সক্রিয়তা না থাকলে বিপদের হাতছানি রয়েই যাবে।
শনিবারের ঘটনায় জখম শান্তনু গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, প্রচারে আরও বেশি করে নজর দেওয়া উচিত পুলিসের। কেন বারবার এই ঘটনা ঘটছে? আমি জখম হয়েছি, এবার অন্যজন হবে। প্রাণহানির ঘটনা ঘটলে কি পরিস্থিতি বদলাবে? তাই পুলিসকে আরও বেশি করে নজর দেওয়া উচিত। গত ৯ জানুয়ারি হাওড়ার চুনাভাটির বিবেকানন্দ নগরে বাসিন্দা শুভজিৎ শূর রায়চৌধুরী বাইক নিয়ে হাওড়া থেকে বেলেঘাটায় যাওয়ার পথে চীনা মাঞ্জায় তাঁর ঠোঁটের দু’কোণ এবং নাকের একাংশ কেটে গিয়েছিল। তিনিও বললেন, পুলিসকে আরও প্রচারের ধার বাড়াতে হবে। মাঝেমধ্যেই শুনছি কেউ না কেউ আক্রান্ত হচ্ছেন। এবার তো প্রাণহানির মতো বড়সড় ঘটনা ঘটে যাবে। মা উড়ালপুলের দু’ধারে লাগাতার নজরদারি প্রয়োজন।