মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াতে ৬২ মিনিটে থুরামকে তুলে নিয়ে কোলো মুয়ানিকে নামান ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশঁ। তাঁর এই সিদ্ধান্ত কাজেও লেগে যায়। ম্যাচের বয়স তখন ৮৫ মিনিট। বক্সের বাইরে থেকে কান্তে পাস বাড়ান কোলো মুয়ানিকে। তাঁর ডান পায়ের শট জান ভার্টনঘেনের গায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায় (১-০)। উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন ফরাসি সমর্থকরা। বাকি সময়ে গোল শোধের মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছিল বেলজিয়াম। কিন্তু গোলমুখ খুলতে পারেনি।
ম্যাচের প্রারম্ভিক পর্বে দুই দলই একে অপরকে পরখ করে নেওয়ার চেষ্টায় ছিল। তবে বেলজিয়াম আঞ্চলিক আধিপত্য বজায় রাখে। কোচ তেডেস্কো কেন গেমমেকার ডি ব্রুইনকে এতটা নীচ থেকে ব্যবহার করলেন, তা বোঝা গেল না। ৩০ মিনিটের পর অবশ্য ফ্রান্স খোলস ছেড়ে বেরনোর চেষ্টা করে। এর আগে ২৪ মিনিটে বক্সের বাইরে ডোকুকে ফাউল করেন গ্রিজম্যান। হলুদ কার্ডও দেখেন। ফ্রি-কিক পায় বেলজিয়াম। ডি ব্রুইনের শট কোনওরকমে প্রতিহত করেন ফরাসি গোলরক্ষক মাইগন্যান। কয়েক মিনিট পর বাঁ প্রান্ত থেকে আরও একটি আক্রমণ তৈরি করে বেলজিয়াম। বাঁ দিক থেকে ওপেন্ডা গোলের জন্য বল বাড়িয়েছিলেন লুকাকুকে। তা প্রতিহত হয়ে পৌঁছায় কারাসকোর কাছে। গোলমুখে নেওয়া তাঁর শট লাগে ফরাসি ডিফেন্ডার হার্নান্ডেজের হাতে। পেনাল্টির আবেদন জানায় বেলজিয়াম। তবে রেফারি কর্ণপাত করেননি। প্রথমার্ধেই তিনটি হলুদ কার্ড দেখে ফ্রান্স। তার মধ্যে রয়েছেন র্যাবিয়ট। পরের ম্যাচে তাঁকে পাবেন না কোচ দেশঁ।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই গোলের একাধিক সম্ভাবনা তৈরি করেছিল। ৬৯ মিনিটে গ্রিজম্যানের সাজিয়ে দেওয়া বল বাইরে মারেন চৌমেনি। ৭১ মিনিটে ডি’ব্রুইনের পাস থেকে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন লুকাকু। তাঁর বাঁ পায়ের জোরালো শট বাঁচান ফ্রান্সের গোলরক্ষক। ৭৮ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন এমবাপে।
ম্যাচের নায়ক হতে পারতেন ডি ব্রুইন। ৮৩ মিনিটে সজোরে গোলে মারেন তিনি। কিন্তু ফরাসি গোলরক্ষক দক্ষ হাতে তা প্রতিহত করেন।