দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
দীর্ঘ টালবাহানার পর লোধা কমিটির প্রস্তাব মেনে তৈরি হয়েছিল বোর্ডের নতুন সংবিধান। তার ভিত্তিতেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সৌরভ গাঙ্গুলির সভাপতিত্বে বোর্ডের নতুন কমিটি তৈরি হয়েছে। কিন্তু সংবিধান মানলে আগামী জুলাইয়ে পদ ছাড়তে হবে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি ও সচিব জয় শাহকে। কারণ, লোধা কমিটির প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, কোনও ব্যক্তি রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা ও বোর্ড মিলিয়ে এক বা একাধিক পদে ছ’বছরের মেয়াদ পূর্ণ করলে, তাঁকে তিন বছরের জন্য কুলিং অফে যেতে হবে। কিন্তু ৩৮টি রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার অধিকাংশই সৌরভ-জয় জুটির হাতে ভারতীয় ক্রিকেট সুরক্ষিত বলে মনে করছে। তাই বোর্ডের সংবিধান ফের সংশোধনের পথে হাঁটছে নতুন কমিটি। কুলিং অফের নিয়মে বদল আনা হবে। নতুন নিয়মে বলা হচ্ছে, কোনও ব্যক্তি যদি রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা থেকে বোর্ডের কোনও শীর্ষ পদে বসেন, তাহলে কুলিং অফে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার মেয়াদ গ্রাহ্য হবে না। তিনি বোর্ডে যতদিন থাকবেন, তার ভিত্তিতেই ছ’বছর কাউন্ট করা হবে। তারপর যেতে হবে কুলিং অফে। আর এই নিয়ম চালু হলে, সৌরভ এমনিতেই তিন বছরের একটা টার্ম বোর্ড সভাপতি পদে থেকে যাবেন। পাশাপাশি দ্বিতীয় টার্মে আর তিন বছরের জন্য তিনি সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। তবে সমস্যা হল, সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব বোর্ডের এজিএমে গৃহীত হলেও তা কিন্তু কার্যক্ষেত্রে প্রয়োগের আগে সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিতে হবে। আগামী ৩ ডিসেম্বর এই বিষয়ে শুনানি রয়েছে।
মূলত সংবিধানের চারটি ধারা বদল করতে চাইছে বোর্ডের নতুন কমিটি-- ১) কুলিং অফের নিয়মে পরিবর্তন ২) সত্তরোর্দ্ধ কর্তাদের কমিটিতে থাকার অনুমতি ৩) সচিবের হাতে অধিক ক্ষমতা ৪) পরবর্তীতে সংবিধান সংশোধনে আদালত যাতে আর বাধা না দেয়।
সৌরভ গাঙ্গুলি, জয় শাহদের মেয়াদ বৃদ্ধির পাশাপাশি তামিল ব্রাহ্মণ তথা টিনএনসিএ’র স্ট্রংম্যান হিসাবে পরিচিত এন শ্রীনিবাসন আবার ভারতীয় ক্রিকেটে প্রশাসক হিসাবে ফিরতে পারবেন কি না, তা নিয়েও যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। বোর্ড সভাপতি পদে সৌরভের বিরুদ্ধে ব্রিজেশ প্যাটলেকে দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন শ্রীনি। যদিও পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে তাঁকে সরে আসতে হয়েছিল। কিন্তু সেক্ষেত্রে শ্রীনির দাবি ছিল, বোর্ড থেকে আইসিসি’র চেয়ারম্যান হিসাবে তাঁর নাম প্রস্তাব করতে হবে। কিন্তু বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেক রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাই শ্রীনিকে আইসিসি’তে পাঠাতে রাজি নয়। বিসিসিআইয়ের নতুন কমিটিও ৭০ বছরের বেশি বয়স হয়ে গেলে কোনও পদে থাকতে পারবে না বলে সংবিধানে যে নিয়ম রয়েছে, তাতে আমুল পরিবর্তন করার ঝুঁকি এখনই নিতে চাইছে না। তবে বোর্ডের কোনও কমিটিতে যাতে সত্তরোর্দ্ধ ব্যক্তিরা থাকতে পারেন, তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাতে পারে বিসিসিআই। এমনও শোনা যাচ্ছে, আইসিসি’র সঙ্গে যেহেতু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সম্পর্ক ভালো ভালো নয়। বিভিন্ন দাবি-দাওয়া এখনও ঝুলে রয়েছে। তাই এজিএমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে যে, আপাতত সৌরভ গাঙ্গুলিই আইসিসি’র মিটিংয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করবেন।
শনিবার সকালেই মুম্বই উড়ে যান মহারাজ। সারাদিনে দফায় দফায় তিনি মিটিং করেন। নতুন ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটি তৈরি হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে রবিবারই ওই কমিটির তিন সদস্যের নাম ঘোষণা হতে পারে। শচীন তেন্ডুলকর, ভিভিএস লক্ষ্মণরা অতীতে সিএসি’র মেম্বার ছিলেন। কিন্তু স্বার্থের সংঘাতের কারণে তাঁরা পদত্যাগ করেছিলেন। রাহুল দ্রাবিড় স্বার্থের সংঘাতের মামলায় ক্লিনচিট পাওয়ার পরেই প্রাক্তন ক্রিকেটারদের বিভিন্ন কমিটিতে আনার পথ খুলে গিয়েছে। সেটাকেই আপাততত কাজে লাগাতে চাইছেন মহারাজ।