দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
তবে ম্যাচের গতিপ্রকৃতি আড়ালে চলে গিয়েছে ওয়ার্নারের ব্যক্তিগত রেকর্ডের ঝলকে। ৯ ঘণ্টার বেশি সময় ব্যাট করে ৪১৮ বলে ৩৩৫ রান করেন তিনি। মারেন ৩৯টি চার ও ১টি ছক্কা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপরাজিত ট্রিপল সেঞ্চুরি করার পথে বাঁহাতি অজি তারকাটি ভাঙলেন নানা রেকর্ড। যার মধ্যে ডন ব্র্যাডম্যানের দুটি রেকর্ডে ভাগ বসালেন তিনি। অ্যাডিলেড ওভালে এতদিন সর্বাধিক ব্যক্তিগত স্কোরের নজির ছিল ১৯৩২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্র্যাডম্যানের ২৯৯ রান। সেই রেকর্ড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার পথে কিংবদন্তি প্রাক্তন মহাতারকার কেরিয়ারের সেরা স্কোরকেও টেক্কা দিলেন ওয়ার্নার। ১৯৩০ সালে লিডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৩৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ব্র্যাডম্যান। ওয়ার্নার আজ অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তির ‘আইকনিক’ ইনিংসটি টপকে যাওয়ার পরই নিজেদের প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয় অস্ট্রেলিয়া।
সপ্তম অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে ট্রিপল সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়েছেন ওয়ার্নার। অজি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শেষ ট্রিপল সেঞ্চুরিটি ২০১১ সালে করেছিলেন মাইকেল ক্লার্ক। এদিন সেই ক্লাবে ঢোকার পথে টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্বিতীয় সর্বাধিক ব্যক্তিগত রানের মালিক হয়ে যান ওয়ার্নার। অজি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তাঁর চেয়ে বেশি রান রয়েছে শুধুমাত্র ম্যাথু হেডেনের। ২০০৩ সালে জিম্বাবোয়ের বিপক্ষে ৩৮০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এছাড়া টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ওয়ার্নারের চেয়ে বড় রানের ইনিংস রয়েছে ব্রায়ান লারা (অপরাজিত ৪০০), গ্যারি সোবার্স (অপরাজিত ৩৬৫) এবং ওয়ালি হ্যামন্ডের (অপরাজিত ৩৩৬)। তবে গোলাপি বলের টেস্টে ওয়ার্নারই এখন সবার উপরে। তিনি টপকে গেলেন পাকিস্তানের আজহার আলিকে (অপরাজিত ৩০২)।
এতদিন টেস্টে ওয়ার্নারের সর্বাধিক ব্যক্তিগত স্কোর ছিল ২৫৩, যা পারথে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে করেছিলেন তিনি। সেই ইনিংসকে ছাপিয়ে যাওয়ার পথে বাঁহাতি তারকাটি যে ভাবে ব্যাট করছিলেন, তাতে টেস্টের ইতিহাসে ব্রায়ান লারার গড়ে যাওয়া সর্বাধিক চারশোর রানের রেকর্ডও ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু টিম পেইন ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত অক্ষতই থেকে যায় লারার রেকর্ড। ওয়ার্নারকে মহার্ঘ সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ট্রোলড’ হতে হচ্ছে অজি অধিনায়ককে।