পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। ... বিশদ
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, সার্টিফিকেট যাচাই করার জন্য বিশেষ প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। তার ফলে আসল এবং নকলের ফারাক সহজে বোঝা যাচ্ছে। চক্রটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়েবসাইট ক্লোন করে সার্টিফিকেট তৈরি করছে। অনেকে আবার সার্টিফিকেট ছাপিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু আসল সার্টিফিকেটের একটি বৈশিষ্ট তারা নকল করতে পারছে না। তারফলে সহজেই পাকড়াও হয়ে যাচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যে ডিআইবি দপ্তরে দু’টি ভুয়ো সার্টিফিকেট জমা পড়ে। বর্ধমান এবং আউশগ্রাম থানা তা নিয়ে তদন্ত শুরু করে। দু’টি ক্ষেত্রে আলাদা চক্র কাজ করেছে। বর্ধমান থানার পুলিস একটি গ্যাংয়ের মাস্টারমাইন্ডদের পাকড়াও করেছে। তারা তিনজনেই হুগলির সিঙ্গুর এবং খানাকুলের বাসিন্দা। সিঙ্গুরের দুই প্রতারক মিডলম্যানের কাজ করত। খানাকুলের প্রতারক ওয়েবসাইট ক্লোন করে জাল সার্টিফিকেট তৈরি করত। জন্ম সার্টিফিকেটের জন্য তারা আড়াই-তিন হাজার টাকা নিত। ধৃতরা ভুয়ো আধার কার্ড এবং পাসপোর্ট তৈরি করত। এক বছরের বেশি সময় ধরে তারা এই কাজ করছে বলে জেরায় জানিয়েছে। এক পুলিস আধিকারিক বলেন, জাল সার্টিফিকেট জমা করলে খুব সহজেই ধরা পড়বে। দালালরা কৌশল অবলম্বন করার চেষ্টা করলেও রেহাই পাবে না। বিশেষ টেকনোলজি সম্পর্কে তারা ওয়াকিবহাল নয়। অনেকেরই বার্থ সার্টিফিকেট না থাকায় তারা দালালদের জালে জড়াচ্ছে। দালালরা সোশ্যাল মিডিয়াতে বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহক ধরছে। টাকা দিলে তারা দু’দিনের মধ্যে সমস্ত ধরনের সার্টিফিকেট তৈরির আশ্বাস দিচ্ছে। পাসপোর্ট ছাড়া অন্য কাজেও ভুয়ো সার্টিফিকেট ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে বলে তদন্তকারীদের আশঙ্কা। পূর্ব বর্ধমানের পুলিস সুপার সায়ক দাস বলেন, ধৃতদের জেরা করে বেশকিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি যাচাই করা হচ্ছে।