পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। ... বিশদ
উল্লেখ্য, কাঁথির শীতলপুর ও রামনগরের আশাপূর্ণাদেবী হল্ট স্টেশনের মাঝে সুজালপুর স্টেশন। এই স্টেশনের উপর নির্ভরশীল কাঁথি-১ ব্লকের বাদলপুর ও দুলালপুর পঞ্চায়েতের একটি অংশের মানুষ। এছাড়াও নির্ভরশীল পার্শ্ববর্তী রামনগর-২ ব্লকের মৈতনা ও কাদুয়া পঞ্চায়েত এলাকার একাংশের বাসিন্দারাও। তাঁরা এই স্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করেন। কাঁথি-দেপাল রাস্তা থেকে যে রাস্তাটি স্টেশন পর্যন্ত গিয়েছে, সেই লিঙ্ক রোডের ভগ্নপ্রায় অবস্থা। স্টেশনে প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের ট্রেনে ওঠানামা করা ও হাঁটাচলার জন্য পেভার ব্লক বসানো হয়েছিল। সেগুলি একটার পর একটা খুলে পড়ছে। স্টেশনে বিদ্যুতের আলোর ব্যবস্থা রয়েছে ঠিকই। কিন্তু সব আলো জ্বলে না। এর ফলে রাতের বেলায় ট্রেন থেকে নেমে যাত্রীরা অসুবিধায় পড়েন। বসার আসন পর্যাপ্ত নেই। বহু যাত্রী দাঁড়িয়েই ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করেন। পানীয় জলের নলকূপ আগে ছিল। এখন তার অস্তিত্বই নেই। শৌচালয় না থাকায়, বিশেষ করে মহিলা যাত্রীরা খুবই সমস্যায় পড়েন। স্টেশন চত্বরের একাংশ ঝোপে ঢেকে গিয়েছে। এরকম নানা সমস্যার মধ্যেই চলছে সুজালপুর রেল স্টেশন। স্থানীয় মৈতনার বাসিন্দা পুলক বড়পণ্ডা বলেন, এই স্টেশনটি এলাকার মানুষের ভরসা। আমরা এখান থেকেই বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করি।
দক্ষিণ কাঁথি ও রামনগর-দুটি বিধানসভা এলাকার একটি অংশের মানুষ ট্রেনে চেপে যাতায়াতের ক্ষেত্রে এই স্টেশনের উপর ভরসা করেন। কিন্তু স্টেশনের যাত্রী পরিষেবার মান ঠিকঠাক নয়। যাত্রীরা খুবই সমস্যায় পড়েন। স্থানীয় হীরাকনিয়ার বাসিন্দা সন্দীপ জানা বলেন, রেলদপ্তর যাত্রীদের কথা ভাবছে না। স্টেশনটির পরিকাঠামো উন্নয়নের ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হোক, এটাই আমাদের দাবি। দক্ষিণ কাঁথির বিজেপি বিধায়ক অরূপকুমার দাস বলেন, শুধু সুজালপুর নয়, দীঘা-তমলুক শাখায় বিভিন্ন স্টেশনে কিছু কিছু পরিকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। আমি বিধায়ক হিসেবে ইতিপূর্বে এবিষয়ে রেলদপ্তরে দরবার করেছি। আশা করছি, আগামীদিনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।