পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। ... বিশদ
এদিন মেদিনীপুর ডিভিশনের ডিএফও দীপক এম বলেন, পার্কটি পরিদর্শন করেছি। ইতিমধ্যেই প্রচুর পরিমাণে মানুষ আসছেন। পার্ক নিয়ে নানা পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। আশা করছি, এবছর আমাদের পার্কে রেকর্ড পরিমাণে ভিড় হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে প্রায় ৭৫ হেক্টর এলাকা জুড়ে রয়েছে বনদপ্তরের গোপগড় হেরিটেজ ও নেচার ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার। চারিপাশে কয়েক হাজার গাছের মাঝে বনভোজন ও বেড়াতে যাওয়ার একটি আদর্শ জায়গা। এখানে রয়েছে বিশেষ ওয়াচ টাওয়ার, পিকনিক স্পট, ছোটদের খেলার জন্য দোলনা, স্লিপ সহ নানা উপকরণ। জানা গিয়েছে, এই পার্কের মাঝে রয়েছে একটি হেরিটেজ ভবন। শোনা যায়, প্রায় পাঁচ-ছ’শো বছর আগে ওড়িশার রায়বনিয়া গড়েরএক রাজা মেদিনীপুরে উঁচু টিলার উপর একটি দুর্গ তৈরি করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে সেই দুর্গ গোপগড় নামে পরিচিত হয়। বর্তমানে দুর্গের কোনও অস্তিত্ব নেই। পরবর্তী সময়ে ইংরেজরা এখানে নীলকুঠি তৈরি করেছিল। সেই কুঠির অস্তিত্বও নেই। তবে ইকো পার্কের ভিতর লাল ইটের তৈরি ভবনটি ‘হেরিটেজ’-এর তকমা পেয়েছে। সেটি প্রায় দেড়শো বছরের পুরনো বলে জানা যায়। তেলিনিপাড়ার কোনও এক জমিদার বাগানবাড়ি হিসেবে বাড়িটি বানিয়েছিলেন বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।বনদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, পার্কটি নিয়ে আমাদের নানা পরিকল্পনা রয়েছে। হেরিটেজ অংশটুকু নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। পার্কটিতে পর্যটকদের বসার জন্য আরও বেশি পরিমাণে চেয়ারের ব্যবস্থাও করা হবে। আগামী রবিবার প্রচুর পিকনিক হবে। ইতিমধ্যেই বুকিং হয়ে গিয়েছে। পার্কের সৌন্দর্যায়নে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও পার্কের ভিতরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থাও থাকছে। এদিন পার্কে বেড়াতে এসেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি শহরের বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী হেমন্ত দত্ত। তিনি বলেন, পার্কটি বেশ ভালোই সাজানো। ছোটদের জন্য দোলনা সহ অনেক রাইডিং আছে। শীতকালে পিকনিকের জন্য আদর্শ জায়গা। পার্কের সামনে বাদাম বিক্রি করছিলেন বাচ্চু দাস। তিনি বলেন, শীত পড়তেই মানুষ পার্কে আসতে শুরু করেছেন। এরপর প্রতি রবিবার ভিড় বাড়বে। মানুষজনএলে আমাদের বিক্রিও ভালো হবে। জানুয়ারি মাস পর্যন্ত এই পর্যটনের মরশুম চলবে।