পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। ... বিশদ
এতদিন এলাকায় হিমঘরের অভাবে উৎপাদিত ফসল পচে নষ্ট হতো। চাষিরা তা অল্প দামে বিক্রি করতে বাধ্য হতেন। হিমঘরটি চালু হওয়ায় এলাকার বহু কৃষক উপকৃত হবেন। কৃষিদপ্তর জানিয়েছে, এলাকার চাষিরা যাতে হিমঘরের সুফল লাভ করেন, সেজন্য তাঁদের সচেতন করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, সরকারি সহায়তায় এলাকার একজন কৃষক সৌরবিদ্যুৎচালিত হিমঘর তৈরির আবেদন করেন। সরকারিভাবে তাঁকে সবরকম সাহায্য করা হয়। এলাকার কৃষকরা যাতে হিমঘরের সুফল লাভ করেন, সেজন্য ন্যূনতম ভাড়া রাখা হবে। এরকম আরও কোনও চাষি হিমঘর করতে ইচ্ছুক হলে তাঁকেও সাহায্য করা হবে।
রঘুনাথগঞ্জ-২ ব্লকের কাশিয়াডাঙা পঞ্চায়েতের দিঘিরপাড় গ্রামের কৃষক সাবির শেখ সৌরবিদ্যুৎচালিত হিমঘর তৈরির জন্য জেলা কৃষিদপ্তরে আবেদন করেছিলেন। কৃষিদপ্তর তাঁকে কৃষি যন্ত্রপাতি কেন্দ্রের অধীনে হিমঘর তৈরির অনুমোদন দেয়। তিনি দু’কক্ষবিশিষ্ট হিমঘর তৈরি করেন। তাতে পাঁচ মেট্রিক টন ফসল রাখা যাবে। ফলমূল, শাকসব্জি সেখানে রাখা যাবে। দু’টি কক্ষ করা হয়েছে যাতে কম ও বেশি তাপমাত্রা অনুযায়ী আলাদা ধরনের ফসল রাখা যায়। আবহাওয়ার কারণে প্রয়োজনমতো সৌরবিদ্যুৎ না পেলে সাধারণ বিদ্যুতের সাহায্যে হিমঘর চলবে।
সাবির শেখ বলেন, বিহারের দ্বারভাঙায় সৌরবিদ্যুৎচালিত হিমঘর রয়েছে। আমি গিয়ে সেটি দেখে আসি। বিষয়টি ভালোভাবে জেনেও আসি। তারপর আবেদন করি। এই হিমঘরের জন্য প্রায় ৩৮লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে। তাতে ভর্তুকিও রয়েছে। কৃষিদপ্তর ও ব্যাঙ্ক আমাকে নানাভাবে সাহায্য করেছে। ব্লক কৃষি আধিকারিক বলেন, শীতকালে আলু, কপি, টোম্যাটো দাম খুব কমে গিয়েছে। কৃষকরা কম দামে ওই সমস্ত ফসল বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। সেসব সব্জি হিমঘরে রেখে দিলে তাঁরা পরে ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন। এরকম আরও হিমঘর তৈরি হবে।