পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। ... বিশদ
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতিষ চন্দ্র দাস বলেন, ‘মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের বাংলোতে আমি যখন ইচ্ছা একজন লোক নিতে পারি। এটা আমাদের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার। নিয়ম অনুযায়ী আমি শান্তিপুর, বগুলা যেকোনও জায়গা থেকে লোক আনাতে পারি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলোতে দু’জন লোক অবসর নিয়েছেন। আমি একজন লোক নিতেই পারি। তাহলে হাসপাতালের ৪৯ জন লোক কী করছেন?’
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর মার্চে মাসে কলকাতার একটি সংস্থাকে ই-টেন্ডারের মাধ্যমে নদীয়া জেলা হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়। পঞ্চাশ জন কর্মীকে হাসপাতালের নিরাপত্তার কাজে লাগানো হয়। ওই সংস্থার সঙ্গে নদীয়া জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের এক বছরের চুক্তি হয়। চলতি বছরের মার্চ মাসে সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। সেইমতো বর্তমানে তাঁরা নদীয়া জেলা সদর হাসপাতাল এবং শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করেছে। সেইসঙ্গে অতিরিক্ত ৬ জন নিরাপত্তাকর্মীকে নেওয়া হয়। যার মধ্যে সদর হাসপাতালে রয়েছেন ২৩ জন নিরাপত্তা কর্মী এবং শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে রয়েছেন ৩০ জন নিরাপত্তাকর্মী। সেই তালিকায় রয়েছেন হেমন্ত সর্দার। যাঁর পোস্টিং দেওয়া হয়েছে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের বাংলোতে। প্রায় এক বছর ধরে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী হয়ে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের বাংলোয় কাজ করছেন। হেমন্তবাবু বলেন, ‘আমি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের বাংলোতে নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে কাজ করি।’
হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বিশেষ করে আর জি করের ঘটনার পর এই নিরাপত্তার বিষয়টি অন্য মাত্রা যোগ করেছে। শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছিল। নানা সময় অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে হাসপাতাল চত্বরে। তার পর থেকেই বিভিন্ন মহলে দাবি ওঠে, হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী বাড়ানোর। হাসপাতালের ভিতরে বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ে সরব হন চিকিৎসকরাও। শক্তিনগর জেলা হাসপাতালেও বর্তমানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কড়াকড়ি করেছে কর্তৃপক্ষ। বাইরের অচেনা লোক হাসপাতালের ভিতর ঢোকা নিয়ে কড়া মনোভাব দেখানো হচ্ছে। সেই জায়গায় হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীকেই অন্যত্র কাজে লাগানো নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধছে।