মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
নন্দীগ্রাম থানার আইসি অনুপম মণ্ডল বলেন, গোকুলনগরের পঞ্চায়েত কর্মীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ হয়েছে। বিডিও সৌমেন বণিক বলেন, প্রধান ওই পঞ্চায়েত কর্মীর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ করেছেন।
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্নীতি ইস্যুতে আগেই গ্রাম পঞ্চায়েতের সাধারণ সভা বয়কট করেছিলেন পঞ্চায়েত সদস্যরা। তাঁরা জেলাশাসকেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী ওই ঘটনায় গ্রাম পঞ্চায়েতে স্পেশাল অডিট করানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েতের সেক্রেটারির বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থানায় এফআইআর হল। পঞ্চায়েত প্রধান জানান, ওই কর্মী নিজের নামে ঠিকাদার এজেন্সি খুলে সেই অ্যাকাউন্টে ৩০লক্ষ টাকা ট্রান্সফার করেছেন। গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা থেকে এই অবৈধ লেনদেন হয়েছে।
বিজেপি পরিচালিত নন্দীগ্রাম-১ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ দেবাশিস দাস বলেন, পঞ্চায়েতের উপপ্রধান এবং সদস্যদের গোপন রেখে সেক্রেটারির বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। প্রধান কেন এনিয়ে এত গোপনীয়তা বজায় রেখে চলছেন, সেটাই আমরা বুঝতে পারছি না। বিষয়টি নিয়ে আমরা ডিএম ও এসপির দ্বারস্থ হব। প্রধানের কাছ থেকেও জবাবদিহি চাওয়া হবে। পঞ্চায়েতের টাকা নয়ছয় হলে সেটা সকলের জানা উচিত। কিন্তু, প্রধান কেন সকল সদস্যকে অবগত করলেন না? কেন গোপনে আইনি পদক্ষেপ নিতে চাইছেন, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
গোকুলনগর পঞ্চায়েতের উপ প্রধান নমিতা গিরি বলেন, দুর্নীতির বিষয়টি আমরাই সামনে এনেছিলাম। কিন্তু আমাদের অন্ধকারে রেখে পঞ্চায়েত প্রধান অভিযোগ জানালেন। কেন এটা করলেন, সেটা বোঝা যাচ্ছে না।
বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল বলেন, ওই পঞ্চায়েত কর্মী নিজের নামে ঠিকাদার এজেন্সি বানিয়েছিলেন। তারপর সেই অ্যাকাউন্টে প্রায় ৩০লক্ষ টাকা অবৈধ লেনদেন হয়। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিষয়টি বিডিওকে জানিয়েছেন। তারপর থানায় এফআইআর করেছেন।