মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
গত ২৪ সেপ্টেম্বর বোলপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বন্যা নিয়ে বৈঠকে উঠে এসেছিল পুর পরিষেবার প্রসঙ্গ। জমা জল, খারাপ রাস্তা, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা— এমন একাধিক বিষয়। পুরসভাগুলির পরিষেবা দেখভাল করার জন্য একটি টিম গঠন করে দিয়েছিলেন তিনি। সেই টিমে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার তথা রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, জেলাশাসক বিধান রায় রয়েছেন। তিনি বলেছিলেন,এই টিম বীরভূমের ছ’টি পুরসভার সঙ্গে সমন্বয় রেখে ‘মিশন মোড’ আকারে নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাবে। এরই মধ্যে গত ২৭ সেপ্টেম্বর বৃষ্টিতে রামপুরহাটে ডাক্তারপাড়া সংলগ্ন এলাকা ও এমএনকে রোড জলমগ্ন হয়ে পড়ে। পরের দিন সেই এলাকা পরিদর্শনে এসে নিকাশি অব্যবস্থার পাশাপাশি পুর পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিধায়ক। সেই সঙ্গে শহরের কাঁদর বুজিয়ে নার্সিংহোম গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে পুরসভার নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
বৃহস্পতিবার সিউড়িতে ছ’টি পুরসভার সঙ্গে বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গঠিত টিম। সেখানেও রামপুরহাট পুরসভার ক্ষেত্রে একই অভিযোগ তোলেন আশিসবাবু। তিনি বলেন, বন্যা পরিস্থিতির বিষয়েই বৈঠক করতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজোর সময়ও বৃষ্টি হবে। উৎসবের দিনগুলিতে যাতে নিকাশি সমস্যায় জল না জমে সেটা দেখতে বলেছিলেন। সেখানে ঠিক হয়েছে, জলমগ্ন হয়ে পড়ে এমন এলাকার মহানালা সহ শাখা নালাগুলি পরিষ্কার করতে হবে। রাস্তায় ধারে কোথাও ইমারতি সামগ্রী মজুত রাখা যাবে না। এরপরই বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সানাঘাটা এলাকায় রামপুরহাট শহরের জল নিকাশির অন্যতম কাঁদরের অংশ বুজিয়ে নার্সিংহোম গড়ে উঠেছে। নার্সিংহোমের মালিককে মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নোটিস দেওয়া হলেও তিনি আসছেন না। এরপরই জেলাশাসক ল্যান্ড দপ্তরকে কাঁদরের ওই অংশ মাপজোক করে রিপোর্ট জমা দিতে বলেন।
এদিকে প্রশাসনিক বৈঠকে সিদ্ধান্ত মতোই শুক্রবার থেকে রামপুরহাটের এমএনকে রোডের ধারে মহানালায় শ্রমিক নামিয়ে পবিষ্কার শুরু করে পুরসভা। চেয়ারম্যান সৌমেন ভকত বলেন, জেলাশাসক ও বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো যে সমস্ত এলাকা জলমগ্ন হয় সেখানকার নালাগুলি পরিষ্কার করতে শ্রমিক নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে একই ইস্যুতে আজ শনিবার পুরসভার পুরসভার দলীয় কাউন্সিলারদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন আশিসবাবু।