মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
সুরজিৎবাবুর অভিযোগ, প্রায় সাত কাঠা জমি রাজনৈতিক মদতে রাতারাতি প্রোমোটারদের কবলে চলে গিয়েছে। গত এক মাস ধরে সেখানে মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করা হচ্ছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে অতিরিক্ত জেলাশাসক(ভূমি সংস্কার) দপ্তরে পর্যন্ত তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু, অবৈধ নির্মাণ বন্ধ হয়নি। তাই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন।
দলেরই পঞ্চায়েত সদস্যার পরিবার যে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এই কাজ করছে, তা স্বীকার করেছেন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান চুমকি বিশ্বাস। তিনি বলেন, পঞ্চায়েতের তরফে নির্মাণের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। তারপরেও অবৈধভাবে নির্মাণ চলছে। বিডিওর কাছে সমস্ত রিপোর্ট বিস্তারিতভাবে দিয়েছি।
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, রামনগর-২ পঞ্চায়েতের তরফে এলাকা পরিদর্শন করে ওই জমিতে নির্মাণ বন্ধ করার জন্য প্রোমোটার ও দখলকারীদের নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তারা সেই নোটিস গ্রহণ করতে অস্বীকার করায় পঞ্চায়েতের তরফে রানাঘাট-১ বিডিওর কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানো হয়। রানাঘাট-১ বিডিও জয়দেব মণ্ডল বলেন, পঞ্চায়েতের তরফে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রানাঘাট-১ বিএলএলআরও অমিয়কুমার বিশ্বাস ওই নির্মাণ এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে কাজ বন্ধ করার নোটিস জারি করেন। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে সেই নোটিস ছিঁড়ে ফেলা হয়। কার্যত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বেআইনি নির্মাণের কাজ চলছে। রানাঘাট-১ বিএলএলআরও বলেন, কাজ বন্ধ করার জন্য আমরা নোটিস দিয়েছিলাম। ওই জমিতে কোনওভাবেই কমার্শিয়াল নির্মাণ করা যাবে না।
বৃহস্পতিবার সকালে জোরকদমে চলছিল বেআইনি নির্মাণ। সরকারি নোটিস কেন ছিঁড়ে ফেলা হল, তা জিজ্ঞাসা করতেই কার্যত তেড়ে আসেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার ভাশুর বিকাশ বিশ্বাস। তিনি বলেন, এই জমির পাঁচ মালিকের মধ্যে আমিও একজন। আমার কাছে কলোনির দেওয়া ছাড়পত্র আছে। পঞ্চায়েত কোনওভাবেই কাজ বন্ধ করতে পারে না। আসল দলিল নিয়েই কাজ করছি।
রানাঘাট-১ ব্লকের রাঘবপুরে জমি হাঙরদের দাদাগিরি নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ স্থানীয়রাও। তাঁদের দাবি, শুধু সুরজিৎবাবুই নন, রানাঘাটের রাঘবপুর এলাকায় এই ধরনের বেআইনি নির্মাণের কারণে অনেকেই জমি হারিয়েছেন। এলাকাজুড়ে রাজনৈতিক মদতে চলা জমির দালালরাজ বন্ধ হোক, চাইছেন বাসিন্দারা।