মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
ফালাকাটা থেকে সলসলা বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নিয়ে একের পর এক আন্দোলনের জেরে শুক্রবার সকাল থেকে তা সংস্কার শুরু হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তার পাশে বালি, পাথর দিয়েই তাপ্পি দেওয়া চলছিল। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এলাকাবাসী।
দুপুরে ফালাকাটার বেহাল রাস্তা দেখতে আসেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের পিডি প্রদ্যুত্ দাশগুপ্ত। তিনি চরতোর্ষা ডাইভারশনে এলে পরিস্থিতি অন্যরকম হয়ে ওঠে। খবর পেয়েই সংগ্রাম কমিটির সভাপতি রাজেন্দ্র নার্জিনারি, যুগ্ম সম্পাদক তপন বর্মন, বিষ্ণুপদ সরকার, কোষাধ্যক্ষ জয়ন্ত সরকার চলে আসেন। জাতীয় সড়কের ওই আধিকারিককে ঘেরাও করা হয়। বিক্ষোভে শামিল হন তৃণমূলের ফালাকাটা ব্লক সাধারণ সম্পাদক দীপক রায়, ফালাকাটা-২ অঞ্চল সভাপতি দীপক সরকার, যুবর ব্লক সভাপতি তাপস বর্মন। দুপুর বারোটা থেকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ চলে। সংগ্রাম কমিটির যুগ্ম সম্পাদক বলেন, পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে। অথচ জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই।
আগের মতোই তাপ্পি দিয়ে রাস্তার কাজ শুরু হয়। এটা আমরা কোনওভাবেই হতে দেব না। তৃণমূল নেতা দীপক রায় বলেন, এই ডাইভারশন শক্তপোক্তভাবে তৈরি করতে হবে। রাস্তায় পিচের কাজ করতে হবে।
পরে খবর পেয়ে ফালাকাটার বিডিও অনীক রায় এলাকায় আসেন। আসে ফালাকাটা থানার পুলিসও। তখন পুলিস ও প্রশাসনের সামনে আধিকারিকরা আশ্বাস দিয়ে বিকেল তিনটায় ঘেরাও মুক্ত হন। পরে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রোজেক্ট ডিরেক্টর প্রদ্যুত্ দাশগুপ্ত বলেন, এদিন রাস্তা পরিদর্শনে এসেছি। এলাকার মানুষের ক্ষোভ হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই শনিবার থেকে ডাইভারশনের কাজ শুরু হবে। রাস্তা সংস্কার চলবে।
ফালাকাটার বিডিও বলেন, হিউমপাইপ বসিয়ে শক্তপোক্তভাবে ডাইভারশনের কাজ হবে।