সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: ভোটে লিড কমেছে-তাই ঘুম উড়েছে পদ্মের। লোকসভা নির্বাচনে মাদারিহাটে লিড কমে যাওয়া প্রমাদ গোনার অবস্থায় বিজেপি। তাই যেকোনওভাবেই মাদারিহাট বিধানসভা আসন দখলে রাখতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। নভেম্বরে হতে পারে এই আসনের উপনির্বাচন। সেই সম্ভাবনাকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। লোকসভা ভোটে বিধানসভায় পিছিয়ে পড়া অঞ্চল ও বুথগুলিকে টার্গেট করেছে পদ্মশিবির। হাতেগোনা অনুগামী নিয়ে গোপনে প্রচার করছেন সাংসদ মনোজ টিগ্গা। পুজোর পরে ভোটারদের নিয়ে বিজয়া সম্মিলনীর নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল। সম্প্রতি তিনি এসে বৈঠকও করেছেন। তবে এবার মাদারিহাট দখল বিজেপির দিবাস্বপ্নই থেকে যাবে বলে পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারা এই উপনির্বাচনের অনেক আগেই প্রচারে নেমেছে। মাদারিহাট বিধানসভায় ১২টি অঞ্চল। এর মধ্যে দু’টি অঞ্চল জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকে পড়েছে। লোকসভা ভোটে বিধানসভার ১২টি অঞ্চলের মধ্যে তৃণমূল ও বিজেপি যুযুধান দুই প্রতিপক্ষই ছ’টি করে অঞ্চলে লিড পেয়েছে। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা মাদারিহাটে ২৯ হাজার ৯৮৫ ভোটে জয়ী হন। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির সেই লিড কমে যায়। ব্যবধান দাঁড়ায় ১১ হাজার ৬৩ ভোট। সেই জন্যই এবার উপনির্বাচনে ঘুম উড়ে গিয়েছে পদ্মশিবিরের। তাই আসন ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি নেতৃত্ব।
যদিও, বিজেপিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। দলের মাদারিহাট ব্লক সভাপতি জয়প্রকাশ টোপ্পো বলেন, আমাদের দল অনেক আগে থেকেই উপ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। বিজেপি যতই গোপনে প্রচার চালাক, উপনির্বাচনে জিতব আমরাই। ওদের কোনও কৌশলই কাজে দেবে না।
বিজেপি সাংসদ মনোজ টিগ্গা অবশ্য বলেন, গোপন প্রচারের কোনও বিষয় নয়। কৌশলগত কারণেই কম সংখ্যক কর্মী নিয়ে আমাদের প্রচার চলছে। মাদারিহাটের উপ নির্বাচনেও আমাদের দলই শেষ পর্যন্ত জিতবে।