মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
একই দাবি করেন তাঁর স্ত্রী তথা বিজেপির মহিলা মোর্চার জেলা নেত্রী মায়ারানি দাস রায়। তিনি বলেন, ১৯৮৯ সাল থেকে আমাদের নামে ওই জমি রয়েছে। সেই নথি দেখতে না চেয়ে হঠাৎ করে আমার স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হল। বিজেপি করি বলে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে। অথচ কয়েকদিন আগে ওই এলাকায় তৃণমূলের এক নেতার দখল করা জমিতে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু তাঁকে গ্রেপ্তার করেনি। এরকম অনেক তৃণমূল নেতার জমি রয়েছে ওই এলাকায়। সেসব নিয়ে প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করছে না।
এদিকে, শুক্রবার ওই রেস্তোরাঁটিকে ভেঙে ফেলতে রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মন এবং ব্লক ভূমি সংস্কার আধিকারিক সুখেন রায় আর্থমুভার ও বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও অজ্ঞাতে কারণে না ভেঙেই ফিরে যান। ধৃত বিজেপি নেতার ছেলে ছেলে তাপস রায় বলেন, বিডিও এবং বিএলএলআরও এসেছিলেন। কাগজ দেখাতে বলেছিলেন। আমি জমির কাগজপত্র দেখিয়েছি। কিন্তু আমার বাবাকে গ্রেপ্তার করা হল কেন তা জানি না।
রাজগঞ্জের বিএলএলআরও সুখেন রায় বলেন, ওই পরিবারটি কিছু নথিপত্র ম্যাজিস্ট্রেট অর্থাৎ বিডিওর কাছে জমা দিয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট সেই নথি খতিয়ে দেখছেন। এরপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে পুলিসকে ওই জমির ব্যাপারে ভেরিফাই করতে বলেছিলাম, গ্রেপ্তার করতে বলিনি। গ্রেপ্তার কেন করেছে তা পুলিসই বলতে পারবে। এবিষয়ে জলপাইগুড়ি আদালতের সহকারী সরকারি আইনজীবী মৃন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সরকারি জমির কাগজ পরিবর্তন করে সেই জমিতে রেস্তোরাঁ করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃতকে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ডের নির্দেশ দিয়েছে। অন্যদিকে, শুক্রবার বিকেলে আর্থমুভার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল শিলিগুড়ির এক তৃণমূল নেতার বাগানবাড়ি। রাজগঞ্জের বিডিও এবং বিএলএলআরও সেসময় উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ, ওই তৃণমূল নেতা সরকারি জমি দখল করে বাগানবাড়িটি বানিয়েছেন।