মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
জ্বর, সর্দি, পেট ব্যাথা নিয়ে ভর্তি থাকা রোগীকে ভুল রক্ত দেওয়ার পর তাঁর অবস্থা এখন সঙ্কটজনক। বিষয়টি নিয়ে বালুরঘাট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর, জেলাশাসক এবং স্বাস্থ্যভবনে অভিযোগ জানিয়েছে রোগীর পরিবার। প্রশ্ন উঠছে, একই নামের দু’জন যেখানে ভর্তি রয়েছেন, সব তথ্য ভালোভাবে দেখা হল না কেন। গত সপ্তাহেই কেন্দ্রের তরফে সেরার তকমা পেয়েছে এই হাসপাতাল। তার ঠিক পরেই এমন ঘটনায় এবার চিকিত্সক, নার্সদের দায়বদ্ধতা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দুবিকাশ বাগ বলেন, মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে রোগীকে সুস্থ করা হচ্ছে। কী হয়েছে জানতে টিম গঠন করেছি।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ‘বি’ পজিটিভ রক্তবাহকের দেহে ‘এ’ পজিটিভ রক্ত চলে গিয়েছে। অন্য গ্রুপের রক্ত দেওয়ার পর রোগীর অবস্থা খারাপ হলে তাঁকে সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। ডায়ালিসিস করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ রোগীর পরিবারের। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর ও হাসপাতালের তরফে মেডিক্যাল টিম গঠন করে ওই রোগীকে সুস্থ করার চেষ্টা চলছে। টেলি মেডিসিনের মাধ্যমে এসএসকেএম হাসপাতালের নেফ্রোলজিস্টের পরামর্শে তাঁর চিকিৎসা চলছে। ঘটনা খতিয়ে দেখতে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং জেলাশাসক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাসের মন্তব্য, কী হয়েছে এখনও বোঝা যাচ্ছে না। তদন্ত করা হচ্ছে।
রোগীর ছেলে মানিক দাসের দাবি, জ্বর, সর্দি ও পেট ব্যথা হওয়ায় মাকে ২৭ জুন সন্ধ্যায় ভর্তি করেছিলাম। তাঁর হিমোগ্লোবিন কম রয়েছে, আমাদের জানানোই হয়নি। রক্তের কোনও রিকুইজিশন ফর্মও দেয়নি। অথচ মাকে পরের দিন দুপুরে রক্ত দেওয়া হয়। আমার মায়ের ‘বি’ পজিটিভ গ্রুপ। তাঁকে ‘এ’ পজিটিভ রক্ত দেওয়া হলে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এখন সিসিইউতে ভর্তি করে ডায়ালিসিস করতে হচ্ছে। জেলা প্রশাসন, জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং স্বাস্থ্য ভবনে অভিযোগ জানিয়েছি।
জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, বালুরঘাট হাসপাতলের ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই রোগীর নাম সাবিত্রী দাস (৫০)। তাঁর বাড়ি পতিরামে। গত বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের ফিমেল মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয় তাঁকে। ওই ফিমেল ওয়ার্ডে একই নামের আর এক রোগী ছিলেন। ষাঠোর্ধ্ব সেই মহিলার ‘এ’ পজিটিভ রক্তের প্রয়োজন ছিল। ফলে নার্সদের বিরুদ্ধে কর্তব্যে বড়সড় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে।
এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্পাদক তথা অধ্যাপক ড. দুলাল বর্মন বলেন, খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। হাসপাতালে ডাক্তার, নার্সদের বেশি সতর্ক হয়ে কাজ করা উচিত ছিল।