শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
শঙ্কর দাস আশিঘরের বাসিন্দা। বাবার চিকিৎসার জন্য শনিবার হাসপাতালে এসেছিলেন। তিনি বলেন, হাসপাতালে ঢোকার মুখেই যদি এভাবে মৃতদেহ বহনের গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে, তাহলে রোগী ও তাঁর সঙ্গে আসা বাড়ির লোকজন মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। দেশবন্ধুপাড়ার শ্যামল ঘোষ বলেন, আমার ছোট মেয়েকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে আসি। হাসপাতালে ঢোকার মুখেই মৃতদেহ বহনের গাড়ি পর পর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মেয়ে ভয় পেয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে। শিশুমনে তার প্রশ্ন, বাবা এই গাড়িগুলি এখানে কেন?
জেলা হাসপাতালে সুপার ডাঃ প্রদীপ্ত ভট্টাচার্যের নজরেও বিষয়টি এসেছে। কিন্তু এ ব্যাপারে তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেননি। তিনি বলেন, অনেকদিন ধরেই মৃতদেহ বহনের গাড়ি গেটের সামনে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছে। আমিও দেখেছি। এটা ঠিক নয়। তবে হাসপাতালের বাইরে কী হল তা দেখার দায়িত্ব আমার নয়।
শহরের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষজনও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের অভিমত, করোনা আতঙ্কের মাঝে মানুষ যদি হাসপাতালে ঢোকার মুখেই এভাবে মৃতদেহ বহনের একাধিক গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন, তাহলে তা রোগীকে মানসিক দিক দিয়ে অনেকটাই দুর্বল করে দেয়।
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ প্রলয় আচার্য বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ ধরনের ঘটনা হয়ে থাকলে সেটা কাম্য নয়। আমি এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বিষয়টি জানাব।
শববাহী একটি গাড়ির চালক জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণের জন্য আত্মশাসন শুরু হওয়ার পর থেকেই রাস্তা ফাঁকা। সেই কারণেই আমরা এখানে গাড়ি রাখছি। আবার সবকিছু স্বাভাবিক হলে এখান থেকে গাড়ি সরিয়ে নেব। তবে এখানে আমাদের গাড়ি রাখা নিয়ে কেউ আপত্তি বা নিষেধ করেননি।