শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে এ ধরনের অভিযোগ অনেকবার উঠেছে। সম্প্রতি শিলিগুড়ি পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ফুলেশ্বরী মোড় থেকে একটি টোটোয় উঠেছিলেন এক মহিলা। বাড়ি ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে। তাঁর অভিযোগ, তিনি যে টোটোয় ওঠেন, তাতে আগে থেকেই দুই যুবক বসেছিল। টোটোয় বসে তাদের সঙ্গে তিনি কথাও বলেছিলেন। তারপর কী হয়েছে তা তাঁর মনে নেই। জ্ঞান ফিরতেই দেখেন, এনজেপি স্টেশনে পড়ে রয়েছেন। তাঁর হাতে ও গলায় থাকা সোনার গয়না ছিল না।
তিনি বলেন, এনজেপি স্টেশনে জিআরপিতে গেলে তারা অভিযোগ নিতে চায়নি। সেখান থেকে এনজেপি থানায় গেলে জানিয়ে দেওয়া হয়, এনজেপি স্টেশনের জিআরপিকেই অভিযোগ জানাতে হবে। এতে হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দিই। কারণ, টোটোর কোনও নম্বর ছিল না, কোথায় খুঁজব। আমার মনে হয়েছে, ওই টোটোচালক ও তাতে বসে থাকা দুই যুবক একই দলের। কিছু স্প্রে করতেই আমি অচৈতন্য হয়ে পড়ি। গয়না ওরাই লুট করে।
করোনাকালে আত্মশাসন চলছে। গণপরিবহণ বন্ধ। একমাত্র টোটো চলছে। ফাঁকা রাস্তায় আতঙ্কের মধ্যেই খুব প্রয়োজনে টোটোয় চাপতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে আত্মশাসন উঠে যাওয়ার পর টোটো নিয়ে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হতে পারে বলে শহরবাসী মনে করছেন। কারণ, করোনায় বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তখন কাজের সন্ধানে বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ শিলিগুড়িতে ভিড় করবে। সেক্ষেত্রে সহজে উপার্জনের জন্য অনেকেই টোটো চালানোর কাজ বেছে নেবে। সেই দলে বাইরের দৃষ্কৃতীরাও ঢুকে পড়তে পারে বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।
এই আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিস প্রশাসন। ইতিমধ্যেই শহরের প্রধান প্রধান রাস্তায় টোটো আটকে কাগজপত্র পরীক্ষা শুরু করেছে পুলিস। শিলিগুড়ির পুলিস কমিশনার গৌরব শর্মা বলেন, এ ধরনের টোটোচালকরা যাতে শহরের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে চিন্তার কারণ না হয়ে ওঠে, তারজন্য আমরা পদক্ষেপ করব। কিছু বিষয় নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। পুরসভা ও জেলা পরিবহণ দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব টোটো যাতে আইন মেনে চলে, সেদিকে নজর দেওয়া হবে।