শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
এ ব্যাপারে মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, ৩০ শতাংশের বেশি ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এমন মৌজার সব চাষিই ক্ষতিপূরণ পাবেন। বিমার আওতায় থাকা চাষিরা এমনিতেই ক্ষতিপূরণ পাবেন। পাশাপাশি কৃষকবন্ধু প্রকল্পে নাম থাকলেও পাওয়া যাবে ক্ষতিপূরণের টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার তথ্য কৃষিদপ্তর রাজ্যে পাঠাচ্ছে। আমরা এ ব্যাপারে অনুমোদন দিয়ে দিয়েছি।
মালদহ জেলা উপ কৃষি অধিকর্তা স্নেহাশিস কুইলা বলেন, মালদহে মোট ১৮১৪টি মৌজা রয়েছে। তারমধ্যে ৯৪৮টি মৌজার ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলায় নথিভুক্ত চাষির সংখ্যা প্রায় তিন লক্ষ। মোট চাষির অর্ধেকেরও বেশি ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত চাষির তালিকা তৈরি করেছি।
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় যশ-এর কারণে মালদহে এবার ব্যাপক বৃষ্টি হয়। বার্ষিক বৃষ্টিপাতের এক-তৃতীয়াংশ মাত্র কয়েক ঘণ্টায় বর্ষিত হয়। ফলে জেলার বহু এলাকা জলমগ্ন হয়। ইংলিশবাজার এবং পুরাতন মালদহ শহরের পাশাপাশি জেলার গ্রামীণ এলাকাতেও জল জমে। বোরো ধান এবং গ্রীষ্মকালীন সব্জি মাঠেই নষ্ট হতে বসে। বহু চেষ্টা করেও চাষিরা পাকা ফসল ঘরে তুলতে পারেননি। এজেলার চাঁচল মহকুমার ছ’টি ব্লকই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গাজোল, পুরাতন মালদহ, ইংলিশবাজার এবং কালিয়াচক-৩ ব্লকের আংশিক ক্ষতি হয়। এই পরিস্থিতিতে সরকারি সাহায্য না পেলে চাষিদের পথে বসতে হবে বলে ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকার অবশ্য আশ্বাস দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের পাশে সরকার রয়েছে বলে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে মালদহের চাষিরা আশায় বুক বাঁধছেন।
কৃষিদপ্তর এবং প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষিঋণ নেওয়ার সময় চাষিদের কাছ থেকে আগে ফসলের বিমার টাকা কেটে নেওয়া হতো। রাষ্টায়ত্ত ব্যাঙ্ক বা সমবায় থেকে ঋণ নেওয়া চাষিরা সহজেই বিমার আওতায় চলে আসতেন। দীর্ঘদিন ধরে এই নিয়ম চালু ছিল। কয়েকবছর আগে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের টানাপোড়েন শুরু হয়। ওইসময় চাষিদের হয়ে বিমার প্রিমিয়ামের টাকা রাজ্য সরকার মেটাবে বলে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন। তারপর থেকে চাষিদের আর প্রিমিয়ামের টাকা দিতে হয় না। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফসল নষ্টের পর বিমা সংস্থাগুলি ক্ষতিপূরণ বাবদ অর্থ চাষিদের প্রদান করে। তারজন্য বেশ কিছু নিয়ম তারা মেনে চলে। কোনও মৌজার সামগ্রিক ফসলের অন্তত ৩০ শতাংশ ফসলের ক্ষতি না হলে বিমার টাকা পাওয়া যায় না। তবে ওই পরিমাণ বা তার বেশি ক্ষতি হলে বিমার আওতায় থাকা সব চাষিই ক্ষতিপূরণ পান। আবার তার থেকে কম ক্ষতি হয়েছে, এমন মৌজার চাষিরা বিমার সুবিধা সচরাচর পান না।
জেলা উপ কৃষি অধিকর্তা বলেন, বর্তমানে চাষিদের হয়ে বিমার প্রিমিয়ামের টাকা রাজ্য সরকার দেয়। প্রতিবার চাষের আগে সংশ্লিষ্ট বিমা সংস্থার প্রতিনিধিরা গ্রাম পঞ্চায়েত, ব্লক কৃষিদপ্তর বা বিডিও অফিসের সহযোগিতায় চাষিদের কাছ থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে। মালদহের সিংহভাগ চাষিই বিমার আওতায় রয়েছেন।