মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
গত ১২ জুলাই আনন্দমেলায় এক যুবকের মৃত্যু ঘিরে গোষ্ঠী সংঘর্ষ ঘরছাড়া হয় প্রায় ২০০ বাঙালি পরিবার। গণ্ডাছড়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হলঘরে অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিল ৪৩৭ জন। তাদের জন্য রয়েছে মাত্র দু’টি শৌচালয়। পানীয় জলের সুব্যবস্থাও প্রায় নেই বললেই চলে। অভিযোগ, প্রথমদিকে কিছুটা প্রশাসনিক সাহায্য মিললেও বর্তমানে ত্রিপুরার ডাবল ইঞ্জিন সরকার তাদের থেকে মুখ ফিরিয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, সাধারণ মানুষের পাঠানো ত্রাণেই দিন কাটছে তাদের। গত দু-তিনদিনে অসুস্থ হয়ে অনেকে ঠাঁই নিতে বাধ্য হয়েছে আত্মীয়দের বাড়িতে। এমনই এক দুর্গত সুরজিৎ বর্ধন (৪৩) ‘বর্তমান’-কে বলেন, ‘প্রশাসন থেকে আমাদের কোনও সাহায্য করা হচ্ছে না। উল্টে শিবির ছাড়তে চাপ দেওয়া হচ্ছে। বিদ্যালয়ের মূল শৌচালয়টি এখন বন্ধ। তার বদলে আমাদের ভাঙা দু’টো পরিত্যক্ত শৌচালয় ব্যবহার করতে দিয়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়ছে মহিলা, শিশুরা। কোনও চিকিৎসা পরিষেবাও নেই।’ ১৯৮০ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে নানান ঘটনার ধাক্কা সামলেছে গণ্ডাছড়া। কিন্তু কোনও বাধাতেই মহকুমায় ঢাকের বাদ্যি থামেনি। সাড়ম্বরে হয়েছে দুর্গাপুজো। কিন্তু এবছরের ছবিটা একেবারেই আলাদা। উঠোনজুড়ে শিউলি নয়, আজ শুধুই অবিশ্বাসের আগাছা। আর তাতেই থমকে গিয়েছে পুজোর সমস্ত আয়োজন। মহকুমার ২২টি পুজো উদ্যোক্তাদের কেউই এবার পুজোর আনন্দে গা ভাসাতে রাজি নন। গণ্ডাছড়ার মাতৃস্নেহ ক্লাবের লিটন দাস, যুব সঙ্ঘের হরিশঙ্কর রায়, নেতাজি ক্লাবের নিবারণ দাস, জয় মা তারা সঙ্ঘের জোৎস্না দাসদের মতো ক্লাবকর্তাদের গলায় একটাই সুর, ‘বিনা অপরাধে সর্বস্ব খোয়ানো মানুষদের ত্রাণ শিবিরে রেখে পুজো করতে চাই না আমরা।’