মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
প্রকাশসহ এদিনের পূর্ণ প্রেক্ষাগৃহে বক্তব্য রাখেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, দলের পলিটব্যুরো সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র ও রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। প্রকাশ কারাত বলেন, উচ্চবিত্ত পরিবার থেকে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়েছিলেন সীতারাম। সরকারি বা বেসরকারি ক্ষেত্রে উচ্চপদে চাকরি করতেই পারতেন। কিন্তু সেসবের কোনওটাই না-হয়ে ‘বিপ্লবী’ হয়েছিলেন সীতারাম। মার্কসবাদ-লেনিনবাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে দেশ ও বিশ্বকে চেনাতে বর্ধমান প্লেনামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর দলের মতাদর্শগত দলিল প্রস্তুত করার দায়িত্ব পড়েছিল সেই সীতারামেরই উপর।
প্রকাশ মনে করিয়ে দেন, দিল্লিতে সীতারামের স্মরণসভায় ‘ইন্ডিয়া’ ব্লকের নেতাদের উপস্থিতি ও বক্তব্য জানান দেয়, দেশের জোট রাজনীতিতে তাঁর ভূমিকা কতখানি ছিল। বিজেপি একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা না-পাওয়ায় স্বস্তি পেয়েছিলেন সীতারাম। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, রাজনৈতিক কার্যকলাপে আরও বেশি সময় দিয়েই সীতারামকে শ্রদ্ধা জানাতে হবে। দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, সীতারামকে শ্রদ্ধা জানাতে বামপন্থাকে শক্তিশালী করতে হবে বাংলায়।
সিপিআই, আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক, সিপিআই (এমএল) লিবারেশন সহ বিভিন্ন বাম দলের নেতৃত্বও উপস্থিত ছিলেন। পার্টির প্রয়াত নেতার স্মরণসভাতেও বারবার উঠে আসে আর জি কর প্রসঙ্গ। অরিজিত্ সিংয়ের ‘আর কবে’ গানটিও গাওয়া হয় এদিন। স্মরণসভায় সীতারামকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন হয়।