মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার নির্দেশে ২৮ জুন থেকে কার্যকর হয়েছে এই নিয়ম। দেওয়া যাবে না কোনও স্লোগান। এমত আবহে আজ শপথ নেবেন খালিস্তানি আন্দোলনের নেতা পাঞ্জাবের খাদুর সাহিবের নির্দল এমপি অমৃতপাল সিং। লোকসভার স্পিকারের চেম্বারে শপথ হবে ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে বন্দি এই নবনির্বাচিত সাংসদের। শপথ গ্রহণের জন্য অসমের ডিব্রুগড় জেল থেকে চারদিনের জন্য প্যারোল পেয়েছেন তিনি।
কী পরিবর্তন হয়েছে শপথ বাক্য পাঠে? লোকসভার সচিবালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শপথ বাক্য পাঠের আগে বা পরে কোনও বাড়তি শব্দ অথবা বাক্য বলা যাবে না। ‘সংবিধানের প্রতি বিশ্বাস এবং আনুগত্যে’ সাত লাইনের যে শপথ বাক্যর ফরম্যাট রয়েছে, তাই পড়তে হবে।
শুধু তাই নয়। ভবিষ্যতে আরও বেশি নিয়ম-বিধির বাঁধন তৈরি হতে চলেছে। এ ব্যাপারে লোকসভার স্পিকার একটি বিশেষ কমিটিও তৈরি করছেন। সেই কমিটি ঠিক করবে, সংসদ সুষ্টুভাবে চলতে নিয়ম বিধিতে কী কী সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন, পরিবর্তন করা যায়। সূত্রের খবর,যেখানে বাড়তে পারে অসংসদীয় শব্দের তালিকাও।
কিন্তু ‘জয় সংবিধান’ বলাও কি বারণ? ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেস এমপি দীপেন্দর হুডার সঙ্গে ওম বিড়লার বিবাদও হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৫৩৯ জন এমপি শপথ নিয়েছেন। যার মধ্যে ইন্ডিয়া জোটের অনেকেই যেমন ‘জয় সংবিধান’ স্লোগান দিয়েছেন, তেমনই তৃণমূলের এমপিদের অনেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়, জয় বাংলা, জয় গুজরাতও বলেছেন। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন চণ্ডীপাঠ।
বিহারের পূর্ণিয়ার নির্দল এমপি রাজেশ রঞ্জন ওরফে পাপ্পু যাদব, বাঁকুড়ার তৃণমূল এমপি অরূপ চক্রবর্তীর সঙ্গে তো শপথের সময় বিজেপির বিবাদও বেঁধেছিল। শপথ বাক্য শেষে বাড়তি কথায় বাদ ছিল না বিজেপিও। মিরাটের এমপি অরুণ গোভিল শপথ বাক্য পাঠ শেষে স্লোগান দেন, জয় শ্রীরাম। বিজেপির এমপি লাপাতা লেডিজ সিনেমার পুলিস অফিসার অভিনেতা রবি কিষাণের মুখে শোনা যায় হর হর মহাদেব মন্ত্র। এইসব ঘটনার প্রেক্ষাপটে নিয়মে বাঁধতে কড়া হচ্ছে লোকসভার সচিবালয়। যদিও লক্ষ্য যে বিরোধীরাই, তা বলাই বাহুল্য।