মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
গতমাসে লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার আগে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন করোড়িলাল। জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁকে পূর্ব রাজস্থানের সাতটি লোকসভা কেন্দ্রে দলকে জেতানোর দায়িত্ব দিয়েছেন। তার মধ্যে একটি আসনেও হারলে তিনি মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। শেষ দু’টি লোকসভা নির্বাচন ও রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ছিলেন প্রবীণ এই বিজেপি নেতা। কিন্তু, সদ্য সমাপ্ত সাধারণ নির্বাচনে রাজস্থানে ঠিক এর উল্টো চিত্রই ধরা পড়েছে। ২০০৯ ও ২০১৪-র ভোটে রাজ্যে একটি আসনও জিততে পারেনি কংগ্রেস। এবার সেই লজ্জাজনক পরিসংখ্যান বদলে আটটি কেন্দ্রে জয় পেয়েছে হাত শিবির। আর তার মধ্যে চারটি কেন্দ্রই কিরোড়িলালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্র। এর মধ্যে আবার শচীন পাইলটের গড় দৌসা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হেরেছে ২ লক্ষেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে। এই ফলাফলকে নিজের ব্যর্থতা হিসেবেই দেখছেন কিরোড়িলাল। এদিন রাজস্থানের ভজনলাল শর্মা মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিগত ১০-১২ বছর ধরে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছি। আমরা প্রভাব রয়েছে, এমন এলাকাতে দলকে জেতাতে পারিনি। আগেই বলেছিলাম, দল সব আসনে জয় না পেলে ইস্তফা দেব। সেই কথা রেখেছি।’
তবে হাইকমান্ড তাঁকে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে অনুরোধ করেছে বলে দাবি কিরোড়িলালের। তাঁর কথায়, ‘শীর্ষনেতারা দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছেন। তাঁদেরকে আমার সিদ্ধান্তের কথা জানাব। কেন এই পদক্ষেপ নিলাম, তাও বুঝিয়ে বলব। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা হয়েছে। তিনি আমার ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেননি। আমার কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। দলকে জেতাতে পারিনি। তাই নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি।’ এদিন নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানাতে গিয়ে শ্রীরামচরিতমানসের একটি উদ্ধৃতি তুলে ধরেছেন ওই বিজেপি নেতা। এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, রঘুকুল রীতি সদা চলি আই। প্রাণ যাই পর বচন না জাই। (অর্থাত্ রঘুবংশের রীতি অক্ষুণ্ণ রয়েছে। প্রাণ চলে গেলেও প্রতিজ্ঞা পালন থেকে সরে আসা যাবে না)।