মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
নিট কেলেঙ্কারির তদন্তে ধৃত অভিযুক্তদের জেরা করে সিবিআই আধিকারিকরা মুখিয়া-ঘনিষ্ট অমিতের নাম জানতে পারেন। তার ভিত্তিতে তদন্তকারীরা বুধবারই পলাতক ওই অভিযুক্তের নিউটাউনের অভিজাত ফ্ল্যাটে হানা দেন। তালা ভেঙে তল্লাশি চালানোর সময় সেখান থেকে একটি ডায়েরি মেলে। সেটি খুলতেই তদন্তকারীদের চোখে কপালে ওঠে। তাতে দেখা যায়, তিনশো জনের বেশি ব্যক্তির নাম রয়েছে। ডায়েরির পাতা ঘেঁটে তাঁরা দেখেন, সকলের পাশে লেখা রয়েছে কে কোথাকার ছাত্র। কী কী সাবজেক্ট রয়েছে এবং কোথা থেকে পড়াশোনা করছেন। সেখান থেকেই এজেন্সির কর্তারা নিশ্চিত হন যে ডাইরিতে নাম থাকা সকলেই ছাত্রছাত্রী। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য সকলের মোবাইল নম্বর পাশে লিখে রাখা হয়েছিল।
তদন্তে প্রকাশ, ছাত্রছাত্রীদের জোগাড় করেছিলেন অমিত। বাংলার নানা স্থানে তার কিছু শাগরেদও রয়েছে। একটা টিম হিসেবে তারা কাজ করছে। অমিতের অনুগামীরা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ঘুরে ছাত্রছাত্রীদের টোপ দিত নিটের প্রশ্ন কেনার জন্য। কেউ রাজি হলে বলা হতো, এর জন্য ভালো অঙ্কের টাকা খরচ করতে হবে। তারপর তাঁদের অমিতের কাছে নিয়ে যেত শাগরেদরা।
ধৃতদের জেরা করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়ে গেলে অমিত তাঁদের অ্যাকাউন্ট নম্বর দিত। সেখানে টাকা জমা করতে বলত অভিযুক্ত ব্যক্তি। এই কাজের জন্য একাধিক অ্যাকাউন্ট খুলেছিল সে। তার মধ্যে রয়েছে অন্যের নথি নিয়ে তৈরি করা অ্যাকাউন্টও। সেখানে বিপুল পরিমাণ টাকা লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ওই ছাত্রছাত্রীদের চিহ্নিত করার পর তাঁদের জেরা করবেন অফিসাররা। তাঁরা জানার চেষ্টা করবেন প্রশ্ন তাঁদের কোথায় দেওয়া হয়েছিল এবং এক-একজনের কাছে কত টাকা নিয়েছিল পলাতক অমিত। ডায়েরিতে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের মধ্যে কতজন পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন জানতে ন্যাশনাল টেস্টিং কাউন্সিল থেকে রেজাল্টের প্রতিলিপি চাওয়া হয়েছে। সেটি হাতে এলে নামগুলি মিলিয়ে দেখা হবে। যাঁদের নাম পাওয়া যাবে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে সিবিআই সূত্রে।