মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
অবিলম্বে অগ্নিবীর প্রকল্পের পুনর্মূল্যায়নের আর্জি জানিয়েছেন মৃত যুবকের দিদি। তিনি বলেন, ‘মাত্র চার বছরের চাকরি করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে আমার ভাই। সরকার ১ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু ভাইকে ছাড়া কি শুধু টাকা দিয়ে বাকি জীবন কাটানো সম্ভব? এই প্রকল্প বাতিল করা হোক।’
২০২২ সালে অগ্নিবীর প্রকল্প চালু করেছিল মোদি সরকার। প্রকল্পের অংশ হিসেবে সেনা বাহিনীতে চার বছর চাকরির সুযোগ পাবে নির্ধারিত যুবক। মেয়াদ শেষে খুব কম সংখ্যক যুবকের ভাগ্যে জুটবে বাহিনীতে স্থায়ী চাকরি। বাকিদের নিতে হবে স্বেচ্ছাবসর। এখানেই শেষ নয়। সাধারণত অবসর নেওয়ার পর সেনা বাহিনীর সদস্যরা পেনশন পেয়ে থাকেন। কিন্তু অগ্নিবীরদের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয়। এমনকী কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হলেও কোনও সুবিধা পান না নিহতের পরিবারের বাকি সদস্যরা।
ইতিমধ্যে কংগ্রেস দাবি করেছে, এখনও ক্ষতিপূরণ পায়নি অজয় কুমারের পরিবার। হাত শিবিরের এই দাবি খণ্ডন করেছে সেনা। বুধবার বেশি রাতে বিবৃতি দিয়ে তারা জানিয়েছে, নিহত অগ্নিবীরের পরিবারকে ৯৮ লক্ষ ৩৯ হাজার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পুলিস ভেরিফিকেশনের পর আরও ৬৭ লক্ষ টাকা পাবে অজয়ের পরিবার। সব মিলিয়ে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক প্রায় ১ কোটি ৬৫লক্ষা টাকা।
সেনার এই দাবি অবশ্য নাকচ করেছেন অজয়ের বাবা। তিনি জানান, ৯৮ লক্ষ টাকার মধ্যে মাত্র ৪৮ লক্ষ দিয়েছে সেনা। আর বিমার টাকা হিসেবে বাকিটা দিয়েছে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক। তিনি বলেন, ‘প্রথমে বিমার ৫০ লক্ষ টাকা দিয়েছে ব্যাঙ্ক। তারপরের সেনাবাহিনীর তরফে ৪৮ লক্ষ পাঠানো হয়। পুরো টাকা এখনও পাইনি। বাহিনী আরও ৬০ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। জানি না সেটা কবে পাব।’