মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
বেঙ্গালুরু শহর থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে তামিলনাড়ুর পচমপল্লিতে তৈরি হয়েছে ‘ওলা ফিউচার ফ্যাক্টরি’। সম্প্রতি ওই শিল্পতালুকে গিয়ে দেখা গেল, সময়োপযোগী এবং উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন দূষণবিহীন যান বৈদ্যুতিক স্কুটার তৈরি করে শিল্পক্ষেত্রে নয়া দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চলেছে ‘ওলা’। ডিজাইন, কমফোর্ট এবং টেকনোলজি—তিনটি ক্ষেত্রেই নতুনত্ব ও আধুনিকতার ছোঁয়া দেবে পরিবেশবান্ধব এই দু’চাকার যান। এখন এখানে দিনে গড়ে ২৩০০টি স্কুটার তৈরি হচ্ছে। ব্রাজিল থেকে এসেছেন জোস পিনহেইরো। তিনি যাবতীয় কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। গোটা কারখানা ঘুরিয়ে দেখানোর পর তিনি ব্যাখ্যা করলেন, কীভাবে একটি বৈদ্যুতিক স্কুটার আকর্ষণীয় করে তোলা হচ্ছে। কারখানার ভিতরেই কাস্টমার স্যাটিসফেকশন লাইন বা সিএসএল দেখিয়ে দিচ্ছে, প্রশিক্ষিত ও দক্ষ মহিলাদের কর্মীদের হাত ধরে কীভাবে একটি ইলেকট্রিক স্কুটার আধুনিক হয়ে উঠছে। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং ডাইরেক্টর বাভিশ আগরওয়াল বললেন, ‘নারী ক্ষমতায়নে আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকি। শুধুমাত্র সংস্থার একজন কর্মচারী হিসেবে নয়, আগামী দিনে সংস্থার ম্যানেজমেন্টেও তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় আসবেন।
বাভিস জানান, তরুণ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে ‘ওলা’ নামটি দেওয়া হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্র এবং বৈদ্যুতিক গাড়ি শিল্পের প্রসারে ভারত আরও এগিয়ে যাবে বলে স্থির বিশ্বাস তাঁর। সেই সূত্রে ‘ওলা ইলেকট্রিক’ বাইকে নিজস্ব ব্যাটারি সেল ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গিগা ফ্যাক্টরি তৈরি করা হচ্ছে। আগামী বছর তারা নিজেদের উৎপাদিত ব্যাটারির মাধ্যমেই ইলেকট্রিক স্কুটার বাজারজাত করতে চায়। তাতে স্কুটারের দাম অনেকটাই কমবে বলে আশাবাদী কর্তারা। বাভিশ আগরওয়াল আরও বলেন, ‘আমাদের ইলেকট্রিক স্কুটারে নিজস্ব সেলই থাকবে। তাতে আমদানির উপর নির্ভরতা কমবে এবং বৈদ্যুতিক যানের দামও কমে যাবে।’