গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
লোকসভা ভোটের মুখে যে তিনি গ্রেপ্তার হতে পারেন, এই আশঙ্কা অনেক দিন ধরেই করছিলেন কেজরিওয়াল। ইডির তরফে একের পর এক নোটিস দেওয়া সত্ত্বেও তিনি গরহাজির থাকার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, এই নোটিসের কোনও আইনি বৈধতা নেই। রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে বিজেপি এই চক্রান্ত করেছে। শেষপর্যন্ত তাঁর আশঙ্কাই সত্যি হয়। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার কয়েক দিন পর, গত ২১ মার্চ আবগারি নীতি কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে ইডি। বর্তমানে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ঠিকানা তিহার জেল। গ্রেপ্তারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন আপ সুপ্রিমো। কেজরিওয়ালের দাবি, লোকসভা নির্বাচনে যাতে প্রচার করতে না পারেন, সেই কারণেই তড়িঘড়ি তাঁকে জেলে পোরা হয়েছে। এর জন্য স্পষ্টভাবে তিনি আঙুল তুলেছেন মোদি সরকার তথা গেরুয়া শিবিরের দিকে।
এদিন সেই আর্জির শুনানিতে দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিশোদিয়ার প্রসঙ্গও টানেন দুই বিচারপতি। বলেন, ‘মণীশ সিশোদিয়ার মামলায় পক্ষে-বিপক্ষে বেশ কিছু তথ্যপ্রমাণ মিলেছে। তাহলে কেজরিওয়ালের মামলাটি এখন কোথায় দাঁড়িয়ে? আমাদের জানান।’ সিশোদিয়ার জামিনের আর্জি খারিজ হয়েছিল প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে। সেই বেঞ্চের অন্যতম সদস্য ছিলেন বিচারপতি খান্না। তিনিই এদিন ভোটের আগে কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারি নিয়ে প্রশ্ন তোলায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।
গত ৯ এপ্রিল কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারির সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছিল দিল্লি হাইকোর্ট। তারপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে গত ১৫ এপ্রিল শীর্ষ আদালত নোটিস পাঠায় ইডিকে। তারপর এদিনের শুনানিতেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে পড়তে হল বিচারপতিদের প্রশ্নের মুখে। এতে স্বাভাবিকভাবে আশার আলো দেখছে আপ তথা বিরোধী মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’।