শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
ইতিমধ্যেই দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, শুধুমাত্র পার্টির নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেই কি সমস্যার সমাধান সম্ভব? বিজেপির শীর্ষ সূত্রের খবর, আপাতত পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে কতটা উদ্যোগী হবেন কেন্দ্রের নেতারা, সেই প্রশ্নেও আড়াআড়ি বিভক্ত হয়ে গিয়েছে নেতৃত্ব। তুলনায় আগামী বছর উত্তরপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকাই বেশি জরুরি বলে মনে করছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশ।
এই ব্যাপারে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘রাজ্য বিজেপিতে কোনও সমস্যা নেই। যাঁরা বিজেপিকে শক্তিশালী করেছেন, তাঁরা দলের সঙ্গেই আছেন। রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে হয়তো ফলাফল প্রত্যাশা মতো হয়নি। তাই কিছু ক্ষেত্রে দোষারোপের পালা থাকতেই পারে। কিন্তু এটা সাময়িক। ঠিক হয়ে যাবে।’ যদিও শুক্রবার মুকুল রায়ের দলত্যাগের পরেই রাজ্য বিজেপিতে কোন্দল আরও তীব্র হয়েছে। দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একপ্রকার বিদ্রোহ করেছে বাংলার বিজেপি এমপিদের একাংশ। এমনকী সরাসরি নিশানা করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির অন্যতম শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে।
কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে যেমন বাংলার দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, তেমনই পশ্চিমবঙ্গে দলের সাংগঠনিক হাল দেখভালের ভার রয়েছে কেন্দ্রের আরও দুই নেতা অরবিন্দ মেনন ও শিবপ্রকাশের উপর। অভিযোগ, রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা নির্বাচনের দিন শেষবার বাংলায় গিয়েছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। গত সপ্তাহে কলকাতায় বিজেপির যে সাংগঠনিক বৈঠক হয়েছে, সেখানে উপস্থিত ছিলেন অরবিন্দ মেনন। কিন্তু বাংলায় হারের পর যেভাবে আরও বেশি মাটি কামড়ে পড়ে থাকার কথা ছিল তাঁদের, তা তাঁরা করছেন না বলেই অভিযোগ করছে নিচুতলার নেতা-কর্মীদের একটি অংশ।
বিজেপির এক নেতা বলেন, ‘বাংলায় জিতলে পুরো ছবিটাই অন্যরকম হত। তা হয়নি। ফলে বাংলার জন্য আর সময় নষ্ট করতে চাইছেন না কেন্দ্রের নেতারা। পরিবর্তে উত্তরপ্রদেশ, গুজরাতের মতো রাজ্যের ভোট নিয়েই বেশি মাথা ঘামাচ্ছেন তাঁরা।’ এরই মধ্যে বিজেপির খবর বাইরে পাচার করা নিয়ে ট্যুইট করে বঙ্গ বিজেপির অস্বস্তি ফের বাড়িয়েছেন দলীয় নেতা তথাগত রায়।