মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত এই প্রজেক্ট। উচ্চ মাধ্যমিকের নয়া সিলেবাসের অন্তর্গত সেটি। প্রজেক্টের নমুনা হিসেবে রয়েছে বেশকিছু ছড়া। শিশুরা কোন কোন পরিস্থিতিতে সতর্ক হবে, প্রতিরোধ করবে, তাদের কেমন আচরণ দেখে অভিভাবকরা বুঝবেন যে কিছু ঘটেছে, তারও বিবরণ রয়েছে। কোনও নির্যাতনের ঘটনা দেখেও চুপ করে থাকাটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তা স্পষ্টভাবে উল্লিখিত থাকছে।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়েছে, স্কুলগুলিই এই প্রজেক্টের মূল্যায়ন করবে। সিলেবাসের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক দ্বীপেন বসু বলেন, স্কুলশিক্ষা যাতে সমাজে কার্যকরী হতে পারে, তার জন্যই এই পর্যায়ে সেটি রাখা হয়েছে। সাধারণত, পুঁথিগত শিক্ষা, প্রজেক্ট ইত্যাদি ক্লাসরুমেই সীমাবদ্ধ থাকে। তবে, এক্ষেত্রে যাতে তা না-হয়, তার দায়িত্ব শিক্ষকদেরও নিতে হবে। শিশুদের যৌন হেনস্তা খুবই সিরিয়াস একটি বিষয়। তা নিয়ে সমাজের সব স্তরকেই সচেতন, সতর্ক এবং প্রতিরোধে সক্রিয় হতে হবে।
নারী, শিশু এবং পরিবারকল্যাণ দপ্তর থেকেও পকসো আইন নিয়ে বেশকিছু কর্মশালা চলছে। পকসোর অভিযোগকারীদের যাতে আইনি, সামাজিক এবং নিরাপত্তাজনিত কোনও সমস্যা না-হয় তার জন্য গ্রাম স্তরের সাপোর্ট পার্সন, জেলা স্তরের ভলান্টিয়ার এবং প্রশাসনিক ব্যক্তিদের নিয়ে এই কর্মশালা চলছে। তাঁরা মামলার তদন্তকারী আধিকারিক থেকে সরকারি আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের বিশেষজ্ঞ, মনোবিদ, আইনজীবীরাও এই কর্মশালায় গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিচ্ছেন।