মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জনাই রোডের বাসিন্দা বিভাস রানার মেয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে গুরুতর অসুস্থ। বেলঘরিয়ার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছে সে। তার এ গ্রুপের রক্ত প্রয়োজন। বিভাস প্রথমে সাগর দত্তের ব্লাড ব্যাঙ্কে এসে হাসপাতালের কাগজ দেখিয়ে দু’ইউনিট রক্ত কিনতে চান। তখন তাঁকে বলা হয়, চিকিৎসকের সই ও স্ট্যাম্প দেওয়া রিকিউজিশন ফর্ম লাগবে। তিনি ফের নার্সিংহোমে গিয়ে ওই কাগজ এনে জমা দেন। এক কর্মী বলেন, মোট ১,২০০ টাকা লাগবে। এরপর অপর কর্মী এসে বলেন, সময় পেরিয়ে গিয়েছে ব্লাড পাওয়া যাবে না। এরপর তিনি হাসপাতালের সুপার সহ বিভিন্ন স্তরে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এরপর মানিকতলার সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাঙ্কে যান। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, জুনিয়ার ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে এক প্রকার ‘ডামাডোল’ চলছে পরিষেবার। তারই প্রভাব পড়েছে ব্ল্যাড ব্যাঙ্কে। ভুগতে হচ্ছে রোগীদের। মেডিক্যাল কলেজে ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকা ব্লাড ব্যাঙ্কে কেন রক্ত না দিয়ে ফিরিয়ে দিল তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। বিভাসবাবু বলেন, মেয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষছে। অথচ, দু’বার ঘুরিয়ে সরকারি হাসপাতাল ফিরিয়ে দিল। ওরা প্রথমে না বলে দিল আমি অন্য কোনও জায়গা থেকে জোগাড়ের চেষ্টা করতাম। হাসপাতালের সুপার সুজয় মিস্ত্রি বলেন, এমন অভিযোগ পাইনি। ব্লাড ব্যাঙ্ক ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। এমন হওয়ার কথা নয়। অভিযোগ পেলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অন্যদিকে, এদিন সাগর দত্তে জুনিয়র চিকিৎসকদের ধর্নামঞ্চে পেতে রাখা খাটিয়া ডেকরেটার্স সংস্থা খুলে নিয়ে গেলে চাঞ্চল্য ছড়ায়। যদিও আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে ডেকরেটার্স খাটিয়া খুলে নিয়ে গিয়েছে।