মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
মাওবাদী সংস্রব থাকা যে ক’জনকে ‘চিহ্নিত’ করে এদিন সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টার খানা তল্লাশি চালিয়েছে এনআইএ, তাদের বেশ কয়েকজন ইতিমধ্যেই গা ঢাকা দিয়েছে। আবার কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর রাঁচির এনআইএ অফিসে হাজিরা দেওয়ার নোটিসও দিয়ে আসা হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, অসমের করিমগঞ্জের মাওবাদী নেতা সব্যসাচী ওরফে কিশোর দা’র ঘনিষ্ঠ অনুগামী এবং মদতদাতাদের খোঁজেই এদিনের মূল অভিযান। এহেন ‘ঘনিষ্ঠ’দের অনেককেই গত একমাসে শহর তথা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অভয়ার ঘটনায় জড়িতদের কড়া শাস্তির দাবিতে চলা সাধারণ মানুষের আন্দোলনের আড়ালে সক্রিয় হতে দেখা যাচ্ছে।
এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত সিপিআই (মাওবাদী) সম্প্রতি নর্দার্ন রিজিওনাল ব্যুরো (এনআরবি) তৈরি করে উত্তর ভারতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা শুরু করেছে। দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশে তারা গোপনে সাংগঠনিক কাজকর্ম শুরু করেছে। গত আগস্ট মাসে ঝাড়খণ্ডের রাঁচি সহ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোট ছ’জন মাওবাদীকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ। তাদের কাছ থেকে যেসমস্ত ‘ডিজিটাল এভিডেন্স’ বাজেয়াপ্ত করা হয়, সেগুলি যাচাই করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা জানতে পেরেছে, এনআরবির যাবতীয় কাজকর্মের জন্য অর্থ সরবরাহ করছে পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, মাওবাদীদের প্রতি সহানুভূতিশীল ‘এলিট’ শ্রেণির কয়েকজন এবং শহুরে নকশালদের একটা অংশ। এমনকী আর জি কর আন্দোলনকে সামনে রেখে ‘মাওবাদী সমর্থক’ বলে পরিচিত যে অংশ সম্প্রতি সক্রিয় হয়েছে, তাদের কাছেও পৌঁছেছে অর্থ। এনআইএ জানতে পেরেছে, কলকাতা, হাওড়া, বাঁকুড়া, আসানসোল শিল্পাঞ্চল, দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ ও নদীয়ার বিভিন্ন প্রান্তে এরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এনআইএর সূত্রটি জানিয়েছে, ডিজিটাল এভিডেন্স থেকে জানা যাচ্ছে, শহুরে নকশালদের এই অংশের বেশ কয়েকজন ঘনঘন ঝাড়খণ্ড-ছত্তিশগড় যাচ্ছে, মিটিং করছে এবং মাঝেমধ্যেই দীর্ঘ কথোপকথন চলছে মাওবাদীদের শীর্ষ কয়েকজন নেতা-নেত্রীর সঙ্গেও।