মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
এরই মাঝে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে অভয়ার চশমা। মৃতার মাথার পিছনে ভাঙা চশমা কীভাবে সাজানো গোছানো ছিল? উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। এক্ষেত্রেও যে সন্দীপ ঘোষের হাত ছিল, তার ‘প্রমাণ’ কেন্দ্রীয় এজেন্সি পেয়েছে। সিবিআইয়ের সন্দেহের তালিকাভুক্ত এক ডাক্তারকে এই কাজের দায়িত্ব তদানীন্তন সুপারই দিয়েছিলেন বলে জেনেছে সিবিআই। একইসঙ্গে ৯ আগস্ট ঘটনার পর, তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষসহ সন্দেহভাজন ছ’জন ডাক্তার কাদের সঙ্গে কী কথা বলেছিলেন তা জানতে সংশ্লিষ্ট অডিও ক্লিপিং চাওয়া হয়েছে। মোবাইল পরিষেবা প্রদায়ী সংস্থার কাছে তা চেয়েছে সিবিআই। নির্যাতিতা শেষ কখন ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, তাও জানতে সংশ্লিষ্ট মোবাইল সংস্থার কাছে কেন্দ্রীয় এজেন্সির চিঠি গিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে সোমবার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, তরুণী চিকিৎসক কীভাবে চশমা পরে ঘুমোচ্ছিলেন! সিল বন্ধ খামে এই সংক্রান্ত উত্তর রয়েছে বলে খবর। জুনিয়র ডাক্তারসহ হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে তদন্তকারীরা জেনেছেন, ‘রোগী দেখতে হবে’ জানিয়ে অভয়াকে সেমিনার হল থেকে ডেকে নিয়ে যান এক মহিলা ডাক্তার। তখন তাঁর চোখে চশমা ছিল। ওই তরুণী সংশ্লিষ্ট ঘরে যাওয়া মাত্রই কোনও একজন তাঁর চশমায় আঘাত করেন। এতে তাঁর চশমাটি ভেঙে যায়। এরপরবর্তী আঘাতে রক্তও বেরতে থাকে তাঁর চোখ থেকে।
সিবিআইয়ের দাবি, সন্দেহভাজনের তালিকাভুক্ত এক ডাক্তার ওই চশমাটি ভেঙেছিলেন। এরপর তাঁকে সেমিনার রুমে নিয়ে গিয়ে চশমাটি মাথার পিছনে রাখা হয়েছিল বলে সিবিআইকে জানিয়েছেন এক ডাক্তার। যে পাঁচজন সন্দেহভাজনের নাম পাওয়া গিয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে আরও জোরালো তথ্য-প্রমাণ জোগড়ের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সেক্ষেত্রে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারই ইঙ্গিত মিলেছে সিবিআইয়ের কথায়।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে টালা থানার তদানীন্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল এবং সন্দীপ ঘোষকে জেরা করে সিবিআই। অন্যদিকে, যেসব জুনিয়র ডাক্তার ময়নাতদন্তের পর সই করে তাতে সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছিলেন, তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জেরার দাবি তুলেছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ।