শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
পুলিস সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় ধৃত হান জুনওয়েকে একপ্রস্থ জেরা করা হয়েছে। হানের ব্যবসায়িক অংশীদার সান জিয়াং কিছুদিন আগেই উত্তরপ্রদেশ অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াডের (এটিএস) হাতে ধরা পড়েছে। সেই তদন্তের সূত্রে হান জুনওয়েকেও খুঁজছে তারা। জানা গিয়েছে, খুব দ্রুত রাজ্য পুলিসের কাছ থেকে ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার অনুরোধ করবে উত্তরপ্রদেশ এটিএস। মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, ‘আদালতের মাধ্যমে যথেষ্ট সময়ের জন্য ওই চীনা অনুপ্রবেশকারীকে আমরা নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। তাকে বিভিন্ন বিষয়ে খুঁটিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। রাজ্য ও কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় রেখেই পুরো বিষয়টিতে এগনো হচ্ছে। আমরা পুরো বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গেই বিবেচনা করছি।’
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, হান জুনওয়ের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ল্যাপটপ সহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট খুঁটিয়ে পরীক্ষা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিস ও বিভিন্ন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। মালদহের বৈষ্ণবনগর এলাকায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি অফিস রয়েছে। সেখান থেকে ইতিমধ্যেই অনুপ্রবেশকারী হান জুনওয়ে সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জোগাড়ের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। জেলা পুলিসের হাতে হস্তান্তরের আগে ওই চীনা নাগরিককে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলেও খবর। বিএসএফ আধিকারিকরা এদিন ধৃতকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে ঠিক কীভাবে সে ভারতে অনুপ্রবেশ করল, তা ব্যাখ্যা করে দেখাতে বলা হয়। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের ফাঁকে তাকে নুডলস এবং গ্রিন টি খেতে দেওয়া হয় বলে বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে। বিএসএফের পদস্থ কর্তাদের অনুমান, চীনা গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসেবেই সম্ভবত ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল হান জুনওয়ে। তার ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, পেনড্রাইভ ইত্যাদি খুঁটিয়ে পরীক্ষা করলেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে তাঁদের ধারণা।
এদিকে, চীনা নাগরিকের অনুপ্রবেশের ঘটনায় রীতিমতো চমকে গিয়েছেন কালিয়াচক থানার আকন্দবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মিলিক সুলতানপুরের বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা আলম শেখ, সেলিম শেখ প্রমুখ বলেন, ‘গোটা ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। আমরা চাই অবিলম্বে কাঁটাতারহীন সীমান্তে কাঁটাতার বসিয়ে নজরদারি বাড়াক বিএসএফ। ভবিষ্যতে এই এলাকা দিয়ে বৈরি মনোভাবাপন্ন অন্য কোনও দেশ থেকেও অনুপ্রবেশের চেষ্টা হবে না, তা
কে বলতে পারে!’