শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
জেলের ভিতর গাদাগাদি করে থাকেন বন্দিরা। তাদের পক্ষে অনেক সময় কোভিড বিধি মেনে চলা সম্ভব হয়ে ওঠে না। সেই কারণে দেশের সংশোধনাগারগুলিকে ফাঁকা করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের প্রায় প্রতিটি জেলে সেই কাজ শুরুও হয়েছে। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে বেশ কয়েকটি জেল থেকে বন্দিদের ৯০ দিনের প্যারোলে মুক্তির সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য কারাদপ্তর। তাতেই বেঁকে বসে ন’টি জেলের ২১ জন বন্দি। জেল কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের পাল্টা আর্জি—‘আমরা জেলের ভিতরই থাকব। এখানকার মতো যত্ন বাড়িতেও মিলবে না। সময়ে খাবার পাচ্ছি। নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা হচ্ছে। আমরা এখানেই বেশি নিরাপদ। বাইরে বেরোলে এমন জীবনযাত্রার মান বজায় রাখা কষ্টসাধ্য। জেল থেকে ছাড়া পেলে আমরা খেতে পাব না। অসুখ হলে চিকিৎসা পরিষেবাও জুটবে না।’
বন্দিদের এই আব্দারের পিছনে অবশ্য অন্য কারণ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারা আধিকারিকদের একাংশের মতে, প্যারোলে ৯০ দিন মুক্তি পেলে সংশ্লিষ্ট বন্দির শাস্তির নির্দিষ্ট মেয়াদ বেড়ে যায়। তাই তারা মুক্তিরদের আর্জি রেখেছে। তবে, সে যাই হোক জেলের পরিষেবা নিয়ে বন্দিদের আত্মতুষ্টিতে দৃশ্যতই খুশি কারা আধিকারিকরা। রাজ্য জেল প্রশাসনের ডিরেক্টর জেনারেল আনন্দ কুমার রবিবার বলেছেন, ‘বন্দিরা আমাদের কাছে লিখিত আবেদন রেখেছে। প্রতিটি আবেদনকে সম্মান জানিয়ে গ্রহণ করা হয়েছে।’ সত্যিই তো এমন আদরের ঠাঁই কেই-বা দেবে!