দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
সম্প্রতি কলকাতার বায়ু দূষণের মাধ্যম কোনগুলি সেগুলি জানতে একটি গবেষণা সংস্থাকে নিয়োগ করেছিল পর্ষদ। সেই গবেষণা সংস্থা তাদের রিপোর্টে জানিয়েছিল কলকাতার বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ এই কারখানাগুলি। বাসন্তী হাইওয়ের কোলডিপো মোড়ের কাছে দু’ধারে এরকম একাধিক কারখানা চলছে। পর্ষদ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, এরা বিভিন্ন জায়গা থেকে চামড়ার ছাট কিনে আনে। তারপরে সেগুলি থেকে পোলট্রির হাঁস-মুরগির জন্য এক কৃত্রিম খাবার তৈরি হয়, তা থেকে।
প্রসঙ্গত, এই কারখানাগুলির বিরুদ্ধে আগেও দূষণের অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু, নির্দিষ্ট অভিযোগ বা তথ্য না পাওয়ায় পদক্ষেপ করা যাচ্ছিল না। অবশেষে পর্ষদের হাতে এবিষয়ে নিশ্চিত তথ্য আসার পরই আধিকারিকরা সেখানে পুলিসকে নিয়ে তল্লাশিতে যায়। মূলত আনন্দপুর এবং প্রগতি ময়দান থানার অন্তর্গত বিভিন্ন মৌজায় এই বেআইনি কারখানাগুলি গজিয়ে উঠেছিল। পর্ষদের এক কর্তা জানান, তল্লাশিতে কারখানাগুলি কোনও সঠিক নথিপত্র দেখাতে পারেনি। তাই সেগুলিকে ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। গত চারদিনের তল্লাশি পর্বে দুই থানা এলাকায় থাকা প্রায় ১০’র বেশি এরকম বেআইনি কারখানাকে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই এলাকায় এরকম আরও নজরদারি চালানো হবে। যে সমস্ত কারাখানার নথি পাওয়া যাবে না, তাদের বিরুদ্ধে এরকমই কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
এদিকে, অন্য একটি সূত্রের দাবি অনুযায়ী বেআইনি এই কারখানাগুলি থেকে যে পোলট্রির খাবার তৈরি করা হয়, তা প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে পাঠানো হয়। সম্প্রতি আনন্দপুর থানার পুলিস এরকমই কয়েকটি লরিকে আটক করেছিল, যেগুলিতে করে বেআইনি এই সামগ্রীগুলি প্রতিবেশী রাজ্যে পাচার করা হচ্ছিল। পর্ষদের কর্তা বলেন, ওই কারখানাগুলির মালিকপক্ষের এখনও কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। সেবিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ শুরু করা হবে বলেও পর্ষদ জানিয়েছে।