দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
কৃষি বিপণন দপ্তর এবার ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব আলু হিমঘর থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশিকা জারি করলেও থেকে যাওয়া আলু নিয়ে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। হিমঘর মালিকদের সংগঠন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এরপরও যে পরিমাণ আলু থাকবে, তার জন্য অতিরিক্ত ভাড়া লাগবে। হিমঘরের ভাড়া রাজ্য কৃষি বিপণন দপ্তর নির্ধারণ করে দেয়। মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে প্রতি কুইন্টালের জন্য দক্ষিণবঙ্গে নির্ধারিত ভাড়া হচ্ছে ১৪৮ টাকা। মালিকদের সংগঠন এদিন বিশেষ বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ৩০ নভেম্বরের পর আলু রাখলে কুইন্টাল প্রতি অতিরিক্ত ২০ টাকা করে ভাড়া দিতে হবে। সংগঠনের সভাপতি পতিতপাবন দে জানিয়েছেন, হিমঘর চালিয়ে রাখার জন্য বিদ্যুতের খরচ ও মজুরদের অতিরিক্ত পারিশ্রমিকের জন্য অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হবে। অন্যদিকে, প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি লালু মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কৃষি বিপণন দপ্তরের অনুমোদন ছাড়া এভাবে বাড়তি ভাড়া নেওয়া যায় না। তাঁরা চাষিদের স্বার্থে এর বিরোধিতা করবেন। কারণ এখন হিমঘরে যে আলু আছে, তার বেশিরভাগটাই চাষিদের। চাষ করার জন্য তাঁরা হিমঘরে বীজের আলু রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। পতিতপাবনবাবু বলেছেন, দাম বেশি পাওয়ার জন্য আলু ধরে রাখা হয়েছে। সেখানে তো অতিরিক্ত ভাড়া দিতেই হবে। আর সরকারের ভাড়া সংক্রান্ত নির্দেশিকা তো নভেম্বর পর্যন্ত কার্যকর।
৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব আলু হিমঘর থেকে বের করার নির্দেশিকা দিলেও তা কার্যকর করা সরাসরি কৃষি বিপণন দপ্তরের পক্ষে সম্ভব নয় বলে মনে করেন হিমঘর মালিক ও ব্যবসায়ীরা। এখনও যে পরিমাণ আলু আছে, তা কোল্ড চেম্বারের বাইরে আনলে রাখার জায়গা পাওয়া যাবে না অনেক হিমঘরে। তাছাড়া স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আলু বেশিদিন ভালোভাবেও রাখা যাবে না। ফলে হিমঘর এখনও বন্ধ করা সম্ভব নয়। নতুন আলু এখনও বাজারে আসতে দেরি আছে। ফলে সংরক্ষিত আলু দিয়ে এখনও বেশ কিছুদিন বাজারের চাহিদা মেটাতে হবে।