দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় বলেছেন, বাংলার কৃষক ও সাধারণ মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী সব সময় চিন্তা করছেন। তাই কৃষিঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি করার ব্যাপারে আমরা অর্থ দপ্তরের অনুমোদন চেয়েছি। আগামী আর্থিক বছরে (২০২০-’২১) কৃষকরা যাতে আরও ভালোভাবে চাষ করতে পারেন, সেদিকে আমাদের নজর আছে। অর্থের অনুমোদন এলেই কৃষি ক্ষেত্রে এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে কত ঋণ দেওয়া হবে, তা ঘোষণা করা হবে। তবে এইটুকু বলতে পারি, এই সরকার রাজ্যের কৃষক ও গরিব মানুষের পাশে সব সময় আছে।
সমবায় দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত আর্থিক বছরে কৃষিঋণ বাবদ ৮ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। আগামী আর্থিক বছরে তা বাড়িয়ে ১০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে গত বছর স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ১২০০ কোটি টাকা ঋণ বাবদ দেওয়া হয়েছিল। এবার তা বাড়িয়ে ১৫০০ কোটি টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সমবায় দপ্তর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগে শুধুমাত্র গ্রামীণ এলাকায় মহিলাদের নিয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি করা হতো। কিন্তু, এবার শহরাঞ্চলেও তা তৈরি করা হবে। সেখানে শুধু মহিলা নন, পুরুষদেরও নিযুক্ত করা হবে। এর ফলে শহরাঞ্চলেও বেকার সমস্যা কমবে। ইতিমধ্যেই গোটা দেশে গত ৪৫ বছরে সবচেয়ে বেশি বেকার সমস্যা তৈরি হয়েছে। সর্বভারতীয় রিপোর্টই সেই কথা বলছে। সেই ক্ষেত্রে গ্রাম ও শহরের বেকার যুবকদেরও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করাই রাজ্য সরকারের লক্ষ্য।
সমবায় দপ্তরের এক কর্তা বলেছেন, বাংলার মানুষকে যাতে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে না হয়, তার জন্য একাধিক পরিকল্পনা নেওয়ার জন্য খোদ মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। সেই মতো কৃষিঋণ ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পুজোর আগে হাওড়া ও হুগলি জেলায় বন্যা ও তারপর বুলবুলের প্রভাবে কলকাতা সংলগ্ন হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাই এবার কৃষকদের সাহায্যে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে সমবায় দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি শস্যবিমার টাকাও যাতে দ্রুত চাষিরা পান, সেদিকেও নজর দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, জেলা কৃষি দপ্তর থেকে রিপোর্ট নিয়ে দ্রুত শস্যবিমার টাকা চাষিদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।