দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
নিয়ামক সংস্থা এই ছাড় দেওয়ায় রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশনও তা মানতে বাধ্য। এর ফলে বিরাট সংখ্যক প্রার্থী এবার উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। হাজার হাজার প্রার্থী লক্ষাধিক টাকা খরচ করে বিএড করে বসেছিলেন। কারণ, তাঁদের গ্র্যাজুয়েশনে ৫০ শতাংশ নম্বর ছিল না। আবার অনেকেরই পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনে ৫০ শতাংশ নম্বর থাকলেও স্নাতক স্তরে তা নেই। এক শিক্ষক বলেন, অনেকেই এমন থাকেন, যাঁরা হয়তো কোনও ‘লো স্কোরিং’ বা কম নম্বর ওঠে এমন বিষয়ে গ্র্যাজুয়েশন করেছিলেন। অথচ পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন কোনও স্কোরিং সাবজেক্টে করেছেন। আবার এমন প্রার্থীও কম নেই, যাঁরা গ্র্যাজুয়েশন যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে করেছেন, সেখানে প্রথাগতভাবে কম নম্বরই দেওয়া হয়। পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ভিনরাজ্যের এমন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে করেছেন, যারা হয়তো নম্বর দেওয়ায় উদার। ফলে গ্র্যাজুয়েশনে না পেলেও পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনে ৫০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছেন। তাঁদের সামনেও দরজা খুলে যাবে।
অনেকেই বলছেন, প্রধান শিক্ষক নিয়োগেও ছাড় আসতে চলেছে। রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশন প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতায় স্নাতকোত্তরে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ আবশ্যিক করেছিল। তা নিয়ে মামলা হয়। তাতে মামলাকারীরা জিতে যান। এক শিক্ষা আধিকারিক বলেন, কমিশনের ধারণা ছিল, শিক্ষকদেরই যেখানে গ্র্যাজুয়েশনে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ আবশ্যিক করা হয়েছে, সেখানে প্রধান শিক্ষকদের ক্ষেত্রে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর আবশ্যিক করা নীতিগতভাবে সঠিক। কিন্তু আগে স্নাতকোত্তরে এত নম্বরই উঠত না। সেটা কমিশন ভাবেনি। ফলে বহু অভিজ্ঞ শিক্ষক বঞ্চিত হচ্ছিলেন। এবার শিক্ষকদের ক্ষেত্রে বিধি শিথিল হওয়ায় উচ্চ প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগেও ছাড় আসতে পারে। কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, এবার অনেক নতুন প্রার্থী টেট-এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রধান শিক্ষক নিয়োগেও বিধি শিথিলের আশা করা যায়।