মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
অভিযোগ, ২৮ জুন পেটে ব্যথা, বমি সহ অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হয় তারকেশ্বর বাজিতপুরের বাসিন্দা ১১ বছরের এক নাবালিকা। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ২৯ জুন হাসপাতালের মধ্যেই অবস্থিত পিপিপি মডেলের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তার আল্ট্রাসনোগ্রাফি করা হয়। তার রিপোর্ট বলে, লিভার সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে নাবালিকার। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে ওই নাবালিকাকে ভর্তি করা হয়। এক বেসরকারি জায়গা থেকে আলট্রাসনোগ্রাফির পর জানা যায়, কিশোরীর অ্যাপেন্ডিক্সের সমস্যা রয়েছে। তড়িঘড়ি অস্ত্রোপচার করার আগেই অ্যাপেন্ডিক্স ফেটে যায়। অস্ত্রোপচারের পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিল কিশোরী। পরে তাকে বাড়িতে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় শুক্রবার ওই সরকারি হাসপাতালের ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন নাবালিকার আত্মীয়রা। একই সঙ্গে বিক্ষোভ দেখানো হয় তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমও এইচ-এর দপ্তরের সামনে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিস বাহিনী। পরিবারের পক্ষ থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। নাবালিকার মা জানান, ভুল রিপোর্টের জন্য আমার মেয়ে আজ মরণাপন্ন। এর আগেও বহুবার এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা এখানে পরীক্ষা করতে পাঠান। কিন্তু নাম কা ওয়াস্তে পরীক্ষা হয়। আমরা চাই না এইরকম আর কারও ক্ষতি হোক। অবিলম্বে এই ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করার ব্যবস্থা করুক সরকার।
এই প্রসঙ্গে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ সৌভিক দাস জানান, রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোও হয়েছে। দু’টি রিপোর্টে পার্থক্য আছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক গগনচন্দ্র হালদার জানিয়েছেন, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক তাঁদের কেন্দ্রকে শোকজ করেছেন।