মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে এক যুবককে আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয় বাঁকড়ার একটি নার্সিংহোমে। তার পিঠে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছিল লাঠি অথবা ভারী কিছু দিয়ে মারধরের চিহ্ন। আহত যুবক এবং তার পরিবার দাবি করে, মোবাইল চোর সন্দেহে তাকে মারধর করেছে কয়েকজন অজ্ঞাত পরিচয় যুবক। একাধিকবার আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টা করলেও, তাকে সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। উল্টে ঘুষি-লাঠি দিয়ে চলে প্রহার। ওই যুবককে আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয় বাঁকড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন আহত বছর ত্রিশের শেখ মসিদুল হাসান ওরফে মিন্টু। আহত যুবক মসিদুল বলেন, বাঁকড়ার মল্লিকবাঁধ এলাকায় বন্ধুর বাড়িতে যাচ্ছিলাম। সেই সময় হঠাৎ প্রায় ১২ থেকে ১৫ জন পথ আটকে ‘মোবাইল চোর’ অপবাদ দেয়। আমি চুরি করিনি, বলা সত্ত্বেও তারা আমাকে মারধর করে। লাগাতার চলে কিল, চড়, ঘুষি। এমনকী লাঠি দিয়েও প্রহার করা হয়। পাশাপাশি স্থানীয়দের দাবি, ওই যুবক এলাকায় ভালো ছেলে হিসেবেই পরিচিত। সচরাচর কোন ঝামেলায় থাকে না।
এদিকে, বিষয়টি নিয়ে সম্পূর্ণ উল্টো দাবি পুলিসের। তাদের বক্তব্য, গাঁজা খাওয়া নিয়ে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে মোবাইল চোর অপবাদ অথবা দলবল জুটিয়ে মারধর করার কোনও ঘটনাই নেই। শুধু তাই নয়, পুলিসের এক কর্তা বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা কোনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। দু’পক্ষ নিজেদের মধ্যে আলোচনায় মিটমাট করে নিয়েছে। এদিকে, গোটা ঘটনাটি নিয়ে ঘনীভূত হয়েছে রহস্য। স্থানীয়দের অভিযোগ, একজন যুবক কোনও কারণ ছাড়া হাসপাতালে ভর্তি হয়নি। তার শরীরে মারধরের দাগ রয়েছে। অন্য কোনও কারণও যদি থাকে, তাহলে কেন স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করল না পুলিস? কেনই বা লিখিত অভিযোগ হয়নি বলে তার হাত তুলে নিচ্ছে? এদিকে, সংবাদ মাধ্যমের সামনে আহত যুবক মোবাইল চোর সন্দেহে তাকে মারধর করার দাবি করলেও লিখিত অভিযোগ কেন দায়ের করেননি, তা নিয়েও
প্রশ্ন উঠছে।