বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
বনগাঁ শহরে গত কয়েকমাসে পর পর বাইক চুরি হচ্ছিল। থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। শহরের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে সিসি ক্যামেরা। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিস প্রতিটি সিসি টিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে তা ভাল করে খতিয়ে দেখে। তারপরই বিশ্বজিৎ বিশ্বাসকে পুলিস সনাক্ত করে। মঙ্গলবার রাতে বনগাঁ থানার আইসি’র নেতৃত্বে পুলিসের টিম বাগদার পারমাদানে হানা দেয়। সেখান থেকে প্রথমে বিশ্বজিৎকে গ্রেপ্তার করে। তারপর তাকে জেরা করা হলে সে দিলওয়ারের নাম বলে। ওইদিন রাতেই পুলিস তাকেও গ্রেপ্তার করে। তারপর ভোররাতে পুলিস অভিযান চালিয়ে তাদের হেফাজতে থাকা প্রথমে আটটি বাইক উদ্ধার করে। বুধবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে আরও দু’টি বাইক উদ্ধার করা হয়।
পুলিস জানিয়েছে, ধৃতরা প্রথমে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে রেকি করত। এলাকার রাস্তাঘাট সব জেনে নিত। বেশ কয়েকদিন ওয়াচ করার পরই তারা বাইক চুরি করত। তাদের কাছে বাইকের ‘মাস্টার কি’ থাকত। তা দিয়েই চাবি খুলে চম্পট দিত। ধৃতদের জেরা করে পুলিস জানতে পেরেছে, এই চোরাই বাইক বিক্রি করার জন্য তাদের কিছু ছেলে ঠিক করা থাকত। তারাই ক্রেতা ধরে আনত। সস্তায় বিক্রি করে দেওয়া হত। চুরির পর বেশিরভাগ বাইকের নম্বর প্লেট খুলে একটি মনগড়া একটি নম্বর প্লেট লাগিয়ে দেওয়া হত। যাতে ওই বাইক রাস্তায় চলতে দেখলেও কেউ ধরতে না পারে। বুধবার ধৃতদের বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছিল। তদন্তের স্বার্থে পুলিস হেফাজতের আবেদন করে। আদালত ছ’দিনের পুলিস হেফাজত মঞ্জুর করেছে।