বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
দক্ষিণ ভারতে চোরাশিকারিদের কাছ থেকে হাতির দাঁত এনে তা দিয়ে মূর্তি ও গয়না তৈরির কাজ হয়। সোমবার এমনই কারখানার খোঁজ পান ডিআরআইয়ের অফিসাররা। কসবার রাজডাঙা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত সুদীশচন্দ্র ও তার মেয়েকে। ধৃতদের জেরা করে জানা যায়, বংশ পরম্পরায় তারা এই ব্যবসা চালিয়ে আসছে। দক্ষিণ ভারতের একাধিক চোরাকারবারির সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে। সেখান থেকেই আনা হয় হাতির দাঁত। তদন্তে জানা যায়, তারাই হাতির দাঁতের সামগ্রী বেচাকেনার চক্র চালায়। বিভিন্ন জায়গায় একাধিক চোরাকারবারি রয়েছে। যারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজ্য থেকে চোরাপথে হাতির দাঁত নিয়ে আসে। সেই দাঁতই কেনে সুদীশচন্দ্র। এর বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকা পায় চোরাকারবারিরা। শুধু তাই নয়, হাতির দাঁতের সামগ্রী তৈরির জন্য বিভিন্ন জায়গায় বরাত দিয়ে থাকে সুদীশচন্দ্র ও তার মেয়ে। বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হওয়া মূর্তি আসে রাজডাঙায়। অনেক সময় অন্য চোরাকারবারিরা নিজেরাই এই সমস্ত জিনিস তৈরি করে। তারা সেগুলি বিক্রি করে সুদীশচন্দ্রদের কাছে। এরজন্য মোটা টাকা পায় তারা। তার ভিত্তিতেই বহরমপুরের বাসিন্দা গৌতম ভাস্করের নাম জানতে পারেন ডিআরআইয়ের অফিসাররা। এরপরই তার বাড়িতে হানা দেন তাঁরা। সেখান থেকে হাতির দাঁতের বিভিন্ন সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়। যার দাম আনুমানিক ৪২ লক্ষ টাকা বলে জানা গিয়েছে।
গৌতম ভাস্কর ডিআরআই অফিসারদের জানিয়েছে, সুদীশচন্দ্রের মেয়ের সঙ্গে তার যোগাযোগ দীর্ঘদিনের। কোথা থেকে হাতির দাঁত আনা হবে, কোথায় মূর্তি তৈরির বরাত দেওয়া হবে, পুরোটাই দেখত সে। অভিযুক্ত নিজে এর আগে তার হাতে চোরাই হাতির দাঁত তুলে দিয়ে এসেছে বলেও জানিয়েছে। শুধু তাই নয়, হাতির দাঁত দিয়ে সে যে মূর্তি বা গয়না তৈরি করত, তা কিনেছে সুদীশচন্দ্রের মেয়ে। তার বিনিময়ে ভালো অঙ্কের টাকাও পেয়েছে। লেনদেন পুরোটাই হয়েছে নগদে। তবে এই সমস্ত সামগ্রীর পুরোটাই নেপাল সহ বিদেশের অন্যত্র যেত বলে গৌতম জানিয়েছে। মূর্তি বা গয়না বিক্রি করে সুদীশচন্দ্র ও তার মেয়ে যে টাকা রোজগার করেছে, সেই টাকায় কলকাতায় একাধিক সম্পত্তি কেনা হয়েছে বলে খবর। এমনকী ব্যাঙ্কেও তাদের বিপুল টাকা রয়েছে। কোন কোন ব্যাঙ্কে তাদের অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তা খোঁজখবর করে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি যে সব সম্পত্তি তারা কিনেছে, সেগুলি কোথায় রয়েছে, তা জানার চেষ্টা চলছে।