বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
বুদবুদের বসন্ত উৎসব দ্বিতীয় বছরে নানা নতুন পরিকল্পনা নিয়েছেন উদ্যোক্তারা। প্রথম বছর থেকেই মহা সমারোহে পালিত হচ্ছে এই উৎসব। বুদবুদের স্থানীয় একটি সমিতির উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। উৎসব কমিটির সভাপতি তথা স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনুপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, সবাই তো শান্তিনিকেতন যেতে পারেন না। মূলত তাঁদের কথা ভেবেই শান্তিনিকেতনের ভাবধারায় এখানে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এই উৎসবে থাকে রবীন্দ্র সংস্কৃতির আবহ। উৎসবে শামিল হয়ে বুদবুদের বাসিন্দারা তারই ছোঁয়া পান। প্রথম থেকেই তাই এখানকার উৎসব মহা সমারোহে উদযাপন করা হয়।
অনুপবাবু বলেন, এবার ২১ মার্চ দোল হলেও এখানে ১৯ মার্চ থেকেই উৎসব শুরু হবে। প্রথমদিন বিকেলে রাজ্যের কোনও মন্ত্রী বা কোনও বিশিষ্টজন এই বসন্ত উৎসবের উদ্বোধন করতে পারেন। তিনদিনের এই উৎসব ঘিরে এবারও নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছে। বাংলার নামী ব্যান্ড, কলকাতার শিল্পীদের অনুষ্ঠান রয়েছে। ১৯ মার্চ আসছেন সুরজিৎ ও বন্ধুরা। ২০ মার্চ থাকছেন নীপবীথি ঘোষ ও নাগেন্দর সিংয়ের সঙ্গীতানুষ্ঠান।
এছাড়া, কচিকাঁচা থেকে স্থানীয় শিল্পীদেরও একগুচ্ছ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকছে। স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন নৃত্যশিল্পীও এখানে অংশ নেবেন। ১৯ ও ২০ মার্চ রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত অনুষ্ঠানের সময়সীমা। নাচগানের সঙ্গে থাকছে আবির খেলা। মিষ্টিমুখেরও ব্যবস্থা থাকবে। ২১ মার্চ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহযোগে প্রভাতফেরির পর সমাপ্তি অনুষ্ঠান হবে। বুদবুদের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে এই শোভাযাত্রা ঘুরবে। অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসঙ্গীতই মূল আকর্ষণ। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তারা বলেন, এখানে শুধু আবির খেলাই হয়। রং মাখাকে এখানে প্রাধান্য দেওয়া হয় না। বুদবুদের বহু মানুষ এখানে দিনভর শামিল থাকেন। সব শ্রেণীর মানুষকে নিয়ে এবারও এই উৎসবকে আকর্ষণীয় করে তুলতে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
এলাকার বধূ মৌসুমি চট্টোপাধ্যায়, পূর্ণিমা সেনাপতি বলেন, এই উৎসব ঘিরে এখন থেকেই উন্মাদনা শুরু হয়েছে। এবার পরিবারের সব সদস্য মিলে উৎসবে শামিল হব। শান্তিনিকেতনে না গিয়েও এই উৎসবে যোগ দিয়ে সেখানকার অনুভূতি পাওয়া যাবে বলে আশা করি। এলাকার দুই কলেজছাত্রী বলেন, আমরা শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসব টিভিতে দেখেছি। কিন্তু, সেখানে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। যদিও আমাদের এই উৎসব কোনও অংশে কম নয়। আমরা এবারও বসন্ত উৎসবে শামিল হয়ে খুবই মজা করব। এখন থেকে তার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছি।