বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
সিপিএমের জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেন, আসন সমঝোতা নিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্য স্তরে আলোচনা চলছে। তাই এখনই আমরা দেওয়াল লেখার প্রস্তুতি নিচ্ছি না। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরেই দেওয়াল লেখার কাজ হবে। কংগ্রেসের দাবি, সবে নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়েছে। দু’-একদিনের মধ্যেই আমরা দেওয়াল চুনকামের কাজ শুরু করব।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মার্চ মাসের গোড়াতেই হুগলি জেলার তিনটি লোকসভা কেন্দ্রে বুথপিছু কমপক্ষে ২০টি করে দেওয়াল লেখার নির্দেশ দিয়েছে দল। সেইমতো জেলার প্রতিটি ব্লক ও পুরসভা এলাকায় দেওয়ালে চুনের কাজ শেষ করেছেন কর্মীরা। অধিকাংশ জায়গাতেই প্রার্থীর নাম ছাড়াই দেওয়াল লেখার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। আর প্রার্থীর নাম ঘোষণা হতেই শুরু হয়েছে সেই দেওয়ালে ফিনিশিং টাচ দেওয়ার পালা। শ্রীরামপুর, ডানকুনি, রিষড়া, চাঁপদানি, চণ্ডীতলা, চুঁচুড়া, পাণ্ডুয়া, বলাগড়, বাঁশবেড়িয়া, তারকেশ্বর, আরামবাগ—সর্বত্রই প্রার্থীদের নাম লেখার কাজ চলছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত বলেন, প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর এদিন বিকেল থেকেই দলের কর্মীরা দেওয়ালে দেওয়ালে প্রার্থীদের নাম লেখার কাজ শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত বুথ এলাকায় দেওয়াল লেখার কাজ শেষ করতে কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ, বুধবার থেকেই প্রার্থীরা কর্মীদের নিয়ে গ্রুপ মিটিং শুরু করবেন। শুরু হবে এলাকা ভিত্তিক প্রচারও। তপনবাবুর দাবি, হুগলির তিনটি আসনেই আমরা ব্যবধান বাড়িয়ে জয়ী হব।
অন্যদিকে, বিজেপির প্রার্থী তালিকা কবে প্রকাশ হবে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকেই হুগলি ও শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ছাড়াই প্রতীক এঁকে দেওয়াল লেখার কাজ শুরু করেছে তারা। বিজেপির হুগলি জেলা সভাপতি সুবীর নাগ বলেন, প্রার্থীর নাম নিয়ে দলীয় স্তরে আলোচনা চলছে। যে কোনও দিনই নাম ঘোষণা হবে। তাই প্রস্তুতি হিসেবে আমরা ইতিমধ্যেই দেওয়াল লিখন ও বুথ ভিত্তিক বৈঠক শুরু করেছি। প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর আমরা বাড়ি বাড়ি প্রচার ও সভা শুরু করব।