বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
কিন্তু মালাদেবীর তাঁদের সঙ্গে কথা বলার ফুরসৎ নেই। খোদ মুখ্যমন্ত্রী, মেয়রের বিধানসভা যে লোকসভার অন্তর্গত, সেখানকার প্রার্থী এবার তিনি। একের পর এক নামজাদা লোকের ফোন আসতে শুরু করে তাঁর কাছে। শুধু একটাই কথা, দিদি, আপনিই জিতবেন। কিন্তু মালা রায় তাঁদের বলছেন, আমি সত্যি কিছুই জানতাম না। তবে দিদি (তৃণমূল সুপ্রিমো) যে দায়িত্ব দিলেন, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব। আমাকে দিদি সারপ্রাইজ করেছেন। মালা রায়ের দু’টি ফোন। একটা কান থেকে নামাচ্ছেন, তো আরেকটায় ফোন আসছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ফোন এল কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়েরও। তিনি শুভেচ্ছা জানালেন। এরপরই রত্না শূর তাঁকে প্রস্তাব দিলেন, আর যেন তিনি বসে না থাকেন। কালীঘাটে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়িতে যেন রওনা দেন। মালাদেবী সেই প্রস্তাব এক লাফে লুফে নিলেন। কিন্তু রত্নাদেবীকে বললেন, তাঁকে তাঁর সঙ্গে যেতে হবে। রত্নাদেবীও রাজি হয়ে গেলেন। তখন অবশ্য গোটা পুরভবনে চাউর হয়ে গিয়েছে, মালাদেবী প্রার্থী হচ্ছেন রাজ্যের অন্যতম হেভিওয়েট কেন্দ্র দক্ষিণ কলকাতার। ফলে লোকজন তাঁর ঘরের সামনে ভিড় করতে শুরু করেছেন। তবে প্রত্যেকের শুভেচ্ছাবার্তা নিয়েই তিনি ধন্যবাদ জানিয়ে কালীঘাটে বেরিয়ে যান। সঙ্গে অবশ্যই ছিলেন রত্নাদেবী।
গত লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের হয়ে দক্ষিণ কলকাতায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। সেবার তিনি ঘরে বসে থাকার সময় ফোন করে তাঁকে প্রার্থী হতে বলেছিলেন তৎকালীন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি প্রথমে হবেন না বলেও কংগ্রেসের দিল্লি হাইকমান্ডের চাপে প্রার্থী হন। সেবার ভোটে পরাজিত হলেও পেয়েছিলেন প্রায় দেড় লক্ষ ভোট। কিন্তু বর্তমানে প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিনি এখন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। শাসকদলের প্রার্থী হওয়ায় এমনিতেই তিনি অনেকটাই এগিয়ে। পাশাপাশি, দীর্ঘদিনের কাউন্সিলার থাকায় এবং দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম নামজাদা নেত্রী হওয়ায় এই লোকসভা কেন্দ্রও তাঁর হাতের তালুর মতো চেনা। তবুও মালাদেবী বললেন, সব নির্বাচনই কঠিন লড়াই। তবে দিদি আমার উপরে আস্থা রেখেছে, এটাই বড় আশীর্বাদ। তখনই ফোন গেল তাঁর স্বামী নির্বেদ রায়ের কাছে। তিনি বললেন, আমার কাছে এত ফোন আসছে, কী যে বলব! তবে মালা চেনে গোটা লোকসভা এলাকা। মানুষও ওকে ভালোবাসে।