উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
গত শুক্রবার ২০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে পুরীতে আছড়ে পড়েছিল ফণী। তার জেরে বিদ্যুৎ, মোবাইল পরিষেবায় বড়সড় প্রভাব পড়ে। পুরীর বহু হোটেলও কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ট্যুর অপারেটরদের বক্তব্য, হোটেল এবং বাকি পরিকাঠামো মেরামতের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই পর্যটকদের পরিষেবা দেওয়ার মতো জায়গায় পৌঁছে যাবে পুরী। কিন্তু ট্রেন পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক হওয়া দরকার। তা না হলে পর্যটকরা ভরসা পাবেন না।
পুরী ভ্রমণ নিয়ে কথা হচ্ছিল ‘ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন লিমিটেড’-এর গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজার (ইস্ট জোন) দেবাশিস চন্দ্রের সঙ্গে। তিনি বলেন, এটা ঠিকই যে গরমে বহু পর্যটক পুরী ঘুরতে যান। কিন্তু যেভাবে ফণী পুরীতে আছড়ে পড়েছে, তাতে সবকিছু পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও দুই থেকে তিন সপ্তাহ লাগবে বলেই মনে হচ্ছে। সেই দিক থেকে পর্যটনে কিছুটা ক্ষতি হচ্ছে তো বটেই। ‘ট্রাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল’-এর সাধারণ সম্পাদক প্রবীর সিনহা রায় বলেন, পুরীগামী ট্রেন পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক হলেই ফের ভিড় বাড়তে শুরু করবে সৈকত নগরীতে। ঝড়ে সেখানে ক্ষতি তো হয়েইছে। মনে হচ্ছে আরও অন্তত সাত দিন গেলে পর্যটকদের প্রাথমিক পরিষেবা দেওয়ার ব্যাপারে সমস্যা মিটে যাবে। সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক নীলাঞ্জন বসু বলেন, পুরীতে পর্যটকদের ভিড় কবে বাড়বে, তা রেলের উপরেই অনেকাংশে নির্ভর করছে। আশা করছি, আগামী সপ্তাহ থেকেই পর্যটকরা ফের পুরীমুখী হবেন।
কী অবস্থা দক্ষিণ ভারত এবং পুরীমুখী ট্রেনের? দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রের খবর, রবিবার দক্ষিণ ভারতমুখী নিয়মিত দু’টি ট্রেন ছাড়া প্রায় প্রতিটি ট্রেনই ছেড়েছে। যে দু’টি ট্রেন এদিন বাতিল ছিল, সেগুলি হল হাওড়া-পুরী শতাব্দী এক্সপ্রেস এবং সাঁতরাগাছি-তিরুপতি এক্সপ্রেস। কিন্তু, উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, দক্ষিণ ভারতমুখী ট্রেন চলাচল শুরু হলেও পুরীমুখী ট্রেন পরিষেবা এখনও স্বাভাবিক নয়। এদিন ধৌলি এক্সপ্রেস ছাড়লেও ট্রেনটিকে খুরদা রোড স্টেশন পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের এক কর্তা বলেন, পুরীর কোচিং ডিপো ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই, আজ, সোমবার থেকে আগামী বুধবার পর্যন্ত পুরী স্টেশনে কেবল চারটি করে ট্রেন ঢুকবে। সেই ট্রেনগুলি হল, দুর্গ-পুরী-দুর্গ এক্সপ্রেস, পুরী-হাতিয়া-পুরী তপস্বিনী এক্সপ্রেস, হাওড়া-পুরী-হাওড়া শ্রী জগন্নাথ এক্সপ্রেস এবং হাওড়া-পুরী-হাওড়া ধৌলি এক্সপ্রেস। বাকি পুরীগামী ট্রেনগুলিকে হয় খুরদা রোড বা মলাতিপাতপুর স্টেশন পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে। বৃহস্পতিবার পরিস্থিতির উন্নতি হলে পুরীগামী ট্রেন নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ইস্ট-কোস্ট জোনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ট্রেন চালানো হচ্ছে। উড়িশায় উদ্ধার কাজে আমাদের জোন সাহায্য করছে। টাওয়ার ওয়াগন, যন্ত্রাংশ এবং কর্মী-অফিসারদের পাঠানো হয়েছে। যেহেতু পুরীর ডিপোটি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাই বিকল্প হিসেবে সাঁতরাগাছিতে কিছু রেকের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করানো হচ্ছে।